অস্কারে ইতিহাস গড়া কোরীয় নির্মাতা নতুন কোন সিনেমা আসছেন
Published: 11th, January 2025 GMT
নতুন সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আলোচিত কোরীয় নির্মাতা বং জুন-হো। সিনেমার নাম ‘মিকি ১৭’। মিকি নামের ১৭ বছরের এক কিশোরের গ্রহ অভিযানের গল্প নিয়েই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির এই সিনেমা। এটি ৭৫তম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের আউট অব কমপিটিশন শাখায় প্রিমিয়ার হবে।
‘মিকি ১৭’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। এ ছাড়া আরও রয়েছে বং জুন-হোর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অফস্ত্রিনও। সিনেমাটির বাজেট ১৫ কোটি ডলার। ২০২২ সালের সায়েন্স ফিকশন ‘মিকি-৭’ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। উপন্যাসটি লিখেছিলেন অ্যাডওয়ার্ড অ্যাশটন।
জানা যায়, মিকিকে পাঠানো হয় ভয়ংকর মিশনে। বরফ রয়েছে এমন একটি উপগ্রহের খোঁজে গিয়ে মারা যায় এই মিকি। পরে মিকির মতোই নকল আরেকজনকে তৈরি করা হয়। মিকির স্মৃতিগুলোও এই তরুণের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। এতে অভিনয় করেছেন টনি কোলেট, রবার্ট প্যাটিনসন, স্টিভ ইয়ুন।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম পুরস্কার জয়ের পর ২০১৯ সালে অস্কারে রেকর্ড গড়ে কোরীয় সিনেমা ‘প্যারাসাইট’। আন্তর্জাতিক ভাষার সিনেমা হিসেবে প্রথম অস্কারের সেরা ছবির পুরস্কার পায়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাষাসহ চারটি শাখায় অস্কার পায়। সেই সিনেমার পর আর দেখা যায়নি কোরীয় নির্মাতা বং জুন-হোকে।
আরও পড়ুনঅস্কারজয়ী ‘প্যারাসাইট’ অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যু২৭ ডিসেম্বর ২০২৩বিরতি শেষে আবার ফিরছেন তিনি। সিনেমাটি গত বছরের মার্চে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও পরে সরে আসে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। ভ্যারাইটির তথ্যমতে, সিনেমাটি ২৮ ফেব্রুয়ারি কোরিয়ায় মুক্তি পাবে। তার আগে ১৩ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা বার্লিন উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’