Prothomalo:
2025-04-30@23:55:52 GMT

সড়কে বন্যার ক্ষত, ভোগান্তি

Published: 13th, January 2025 GMT

নোয়াখালীর সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকা থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ছোট–বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় উঠে গেছে পিচঢালাই। একই অবস্থা জেলার সোনাপুর-কোম্পানীগঞ্জ-জোরালগঞ্জ সড়কেরও। সোনাপুর থেকে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার পুরো অংশে খানাখন্দ।

নোয়াখালীতে গত বছরের বন্যায় জেলার বিধ্বস্ত সড়কগুলো একরকম চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কারে ধীরগতির কারণে খানাখন্দে ভরা সড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, সড়ক সংস্কারে যে পরিমাণ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, তা পাওয়া যায়নি। তবু প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে যতটুকু সম্ভব সড়ক সংস্কার করা হয়েছে।

সেনবাগ উপজেলার উত্তর সাহাপুর খালেকের দোকান এলাকার বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম বলেন, গত বন্যায় সেনবাগ রাস্তার মাথা থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত এই সড়কটি দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে ছিল প্রায় দুই সপ্তাহ। শুরুর দিকে বন্যার পানির তোড়ে সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। গর্তের ওপর দিয়ে হালকা ও ভারী যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।

পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো.

জসিম বলেন, বন্যার পানি নামার পরপর যদি সড়কের সংস্কার করা হতো, তাহলে এত খারাপ অবস্থা হতো না। সংস্কারে বিলম্বের কারণে বর্তমানে সড়কের সেনবাগ উপজেলার মহিদীপুর থেকে ডাকবাংলো এলাকা ও ছাতারপাইয়া এলাকা বেশি খারাপ হয়ে গেছে। গর্তে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি মেরামত করতে হয়। যানবাহন চলে ধীরগতিতে হেলেদুলে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টের বন্যায় নোয়াখালীতে সওজের প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয় ২০ কোটি টাকা। বরাদ্দ পাওয়া গেছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। বরাদ্দ করা অর্থে এরই মধ্যে কিছু সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। কিছু সড়কের সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর কিছু সড়ক সংস্কারে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পুরো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়কের সংস্কার শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।

সোনাপুর-কোম্পানীগঞ্জ-জোরালগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী কোহিনুর আক্তার বলেন, তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অটোরিকশাযোগে যাতায়াত করেন। খানাখন্দের কারণে গাড়ির ঝাঁকুনিতে অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। তবুও বাধ্য হয়ে চলতে হয়। দিন যত যাচ্ছে, সড়কের অবস্থাও তত খারাপ হচ্ছে।

সড়কের সংস্কারে ধীরগতির বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে সেনবাগ-চন্দেরহাট সড়কসহ কয়েকটি সড়কের সংস্কারকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের সংস্কারে এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অন্যান্য সড়কের সংস্কারে দরপত্র আহ্বানসহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা

দেশের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে পৃথক তিনটি কোটেশনের মাধ্যমে আগামী মে, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এই তিন কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব তিনটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

নতুন বছরের আগ মুহূর্তে কেরোসিন-ডিজেলের দাম কমল

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো (২২-২৩ মে ২০২৫ সময়ে ২০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার মে মাসের জন্য ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তব আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৫টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এই এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.১৫ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা।

সূত্র জানায়, একই প্রক্রিয়ায় জুন মাসের অন্য এক কার্গো এলএনজির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এবং প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এই ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৪০ কোটি ৫১ লাখ ৬৪ হাজার ১২৮ টাকা।

সভায় জুলাই মাসের জন্য ও এক কার্গো এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৬টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমবিটিইউ প্রতি এমবিবিইটএইউ ১১.৩৫৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে  ৫৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পাননি, গাবতলী হাটে খাস আদায় করছেন ‘পছন্দের’ ব্যক্তিরা
  • এবার আগেভাগেই বই ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে, ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের চিন্তা
  • তিন প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় হবে ৩৯০ কোটি টাকা
  • বেজা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই প্রস্তাব অন
  • অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি’র বক্তব্য 
  • এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা
  • ‘নতুন শুরুর আশায়’ মাগুরা টেক্সটাইল মিলসের পুরোনা মেশিন বিক্রি
  • সোনাগাজীতে ইজারা চুক্তি না মেনে চলছে পশুর হাট