লক্ষ্মীপুরে শতাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেয়ালিকা উৎসব
Published: 21st, January 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’, এই প্রতিপাদ্যে লক্ষ্মীপুরে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেয়ালিকা উৎসব পালিত হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতি তুলে ধরতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসন উৎসবের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলা হলরুমে আয়োজিত দেয়ালিকা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।
আরো পড়ুন:
ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নদীতে মিলল নিখোঁজ মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) সম্রাট খীসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ ও ছাত্র-জনতার প্রতিচ্ছবিসহ আন্দোলন সংগ্রামে নানা চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। হল রুমের চার দেয়ালে আওয়ামী লীগের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে দেয়ালিকা দিয়ে সাজানো হয়। পরে জেলা প্রশাসকসহ অন্যরা ঘুরেঘুরে দেয়ালিকা পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, “জেলায় ৭৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আজকে শুধুমাত্র সদর উপজেলার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল। উৎসবে শিক্ষার্থীদের অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলায় এই উৎসব পালন করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “কিভাবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হয়েছে, সে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎসব উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি