কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আলম মিয়া (৬৫) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের চরটেকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আলম মিয়া একই এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুমারখালীতে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪

জুলাই বিপ্লবে শহীদের পরিবার ও আহতদের সহায়তা প্রদান

ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আলম মিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। আজ দুপুরের দিকে আলম মিয়া নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় তার পাশের বাড়ির গোলাম হোসেনের দুই ছেলে সোহরাব উদ্দিন এবং নিজাম উদ্দিনের মধ্যে গাছ কাটা নিয়ে ঝগড়া হয়। আলম দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে যান। এসময় ছোট ভাই সোহরাব উদ্দিনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলম মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।”

তিনি আরো বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করার পর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আলম ম য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

‘আগামীতে জেলায় প্রবেশ করলে হুঁশিয়ার হয়ে কথা বলবেন। যদি সঠিকভাবে আপনার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, আপনার সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই এ জেলায় কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার যে কোনো কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রদল প্রস্তুত।’
রোববার দুপুরে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, দলীয় নেতাকর্মীর ওপর হামলা, জেলা ছাত্রদল সম্পর্কে ভিপি নুরের মিথ্যাচার ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে রোববার দুপুরে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এভাবেই সতর্ক করে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদল নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব মো. জাকারিয়া আহমেদ প্রমুখ। 
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই রাতেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় নুরুল হক নুরকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে পরদিন শুক্রবার গলাচিপায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন গলাচিপা ও দশমিনা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিকেলে নুরুল হক নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের বিরুদ্ধে এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ