নারী ক্রিকেটে বুধবার সকালটা জয়গাথায় ভরা। সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারানোর পর অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে ১৮ রানের এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সুমাইয়া আক্তারের দল। আগে ব্যাট করে স্কটল্যান্ডকে ১২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সুমাইয়া আক্তারের বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০৩ রানে থামে স্কটল্যান্ডের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণার উইকেট। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ও ফাহমিদা ছোঁয়ার ২৬ রানের জুটিতে কিছুটা স্থিরতা আসে। তবে ১৪ রান করে রানআউট হন ফাহমিদা। এরপর জুয়াইরিয়া ২০ রান করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।  

মাঝের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার ও আফিয়া আশিমার দৃঢ়তায় দলটি ঘুরে দাঁড়ায়। আফিয়া ২১ রান করে আউট হলেও সুমাইয়ার ৩৬ বলে অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ১২২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।  

১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা দারুণ করে স্কটল্যান্ড। প্রথম ৪ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ১৯ রান। তবে পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে এনে দেয় ব্রেকথ্রু। আনিসা আক্তার আউট করেন ওপেনার ইমা ওয়ালসিংহামকে (১১)। একই ওভারে সাদিয়া ইসলাম রানআউট করেন পিপা কেলিকে।  

পিপা স্প্রাউল ও নিয়াম মুইরের ৫০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় স্কটল্যান্ড। তবে ২২ রানে থাকা নিয়ামকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাবিবা ইসলাম। এরপর চাপ নিতে না পেরে একের পর এক উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের হয়ে পিপা স্প্রাউল সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। তবে তার ইনিংসটি থামে আনিসার স্টাম্পিংয়ে। শেষ দিকে স্কটল্যান্ডের ব্যাটাররা আর লড়াই জমাতে পারেননি।  

বাংলাদেশের হয়ে লেগ স্পিনার আনিসা আক্তার ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে বোল্ড করে তিনি দেখান অসাধারণ নৈপুণ্য।  

এই জয়ে সুপার সিক্সে পৌঁছে এক নম্বর গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে দুটি ম্যাচে ভালো করতে পারলেই জায়গা হবে সেমিফাইনালে।  এর আগে নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুই উইকেটে হারে বাংলাদেশ। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে দলটি আবারও ছন্দে ফিরেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স কটল য ন ড র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।

আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।

সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
  • প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
  • চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর