সেন্ট কিটসে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই জয়ে বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রইল বাংলাদেশ।  

প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক নিগার সুলতানার দৃঢ় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৮৪ রান। জ্যোতির ১২০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস দলের জন্য মজবুত ভিত গড়ে দেয়। জবাবে ক্যারিবিয়ান নারী দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৪ রানে। নারীদের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়।  

বাংলাদেশের জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছেন বোলাররা। বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার ছিলেন দলের সেরা বোলার, ৩৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন নেন ২টি করে উইকেট। পেসার মারুফা আক্তারও নিয়েছেন ২ উইকেট।  

১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে স্বাগতিক দল। তৃতীয় ওভারে মারুফা আক্তার আঘাত হানেন, কিয়ানা জোসেফকে ফিরিয়ে। এরপর বিপজ্জনক হেইলি ম্যাথিউসকে থামান নাহিদা। ডানড্রা ডটিনকেও দ্রুত বিদায় করেন মারুফা।  

উইকেটরক্ষক ব্যাটার শেমাইন ক্যাম্পবেল কিছুটা লড়াই করলেও তার ২৮ রানের ইনিংস থামিয়ে দেন নাহিদা। এরপর ক্যারিবিয়ানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। মাত্র ৫৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে দল পড়ে বিপদে। তবে অধিনায়ক জ্যোতি ও সোবহানা মুশতারি ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে সামলে নেন।  

মুশতারি ২৩ রান করে আউট হলে দ্রুত ফিরে যান ফাহিমা খাতুনও। তবে জ্যোতি লড়াই চালিয়ে যান স্বর্ণা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে। স্বর্ণা করেন ২১ রান। জ্যোতি শেষ পর্যন্ত ৪৯তম ওভারে আউট হন। তার ৫ চার সমৃদ্ধ ৬৮ রানের ইনিংসেই দল সংগ্রহ করে লড়াইয়ের উপযুক্ত স্কোর।  

জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ এখন রূপ নিয়েছে ফাইনালে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক