ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
Published: 31st, January 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের। নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ১০টি পদে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদেই পরাজিত হন তারা। শুধু জয়লাভ করেছে সিনিয়র সহ-সভাপতি, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ও ৪নং সদস্য পদে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল মিয়া এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ১৫টি পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন জয়লাভ করেন। বৃহস্পতিবার বাকি ১৩টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আবদুর রহমানের সঙ্গে একই ফোরামের বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম কামরুজ্জামান মামুনের মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এছাড়াও সভাপতি পদে আরো দুইজন অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনী ফলাফলে একেএম কামরুজ্জামান মামুন ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান পান ২৪৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল ৩৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পান ১৫৪ ভোট।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শামসুল হক লিটন, সহ-সভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে আশরাফুল ইসলাম খান (চমন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সম্পাদক পাঠাগার পদে জিল্লুর রহমান, সম্পাদক তথ্য-প্রযুক্তি পদে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক, অডিটর পদে রেজুয়ানুর রহমান রনি, সদস্য পদে জহিরুল ইসলাম, শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, শাহ সুলতান রকি ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জয়লাভ করেছেন।
ঢাকা/রুবেল/ইমন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন আইনজ ব আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।
আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।
চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।