একুশে পদক অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের রীতি বাদ
Published: 3rd, February 2025 GMT
রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়া হবে। সোমবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার– ২০২৪’ এর পুরস্কারপ্রাপ্তদের পেছনে দাঁড় করিয়ে ফটোসেশনের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ রীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার থেকে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। পূর্বপ্রচলিত রীতি অনুযায়ী সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি আনুষ্ঠানিক গ্রুপ ফটো সেশন আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতদিন এ বিষয়ে তেমন কোনো দ্বিমত বা আপত্তি শোনা যায়নি।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথেই অগ্রসর হচ্ছে। তাই যে কোনো প্রচলিত রীতি নতুন করে ভাবার সুযোগ আছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটোসেশন কীভাবে আরও সম্মানজনক ও গুণীজনদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে গতকাল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে গ্রুপ ফটো সেশনের রীতি বাদ দেওয়া হবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের জন্য গ্রুপ ফটো সেশন আরও সম্মানজনক এবং যুক্তিসংগতভাবে আয়োজন নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল এক ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।