Samakal:
2025-11-03@07:18:58 GMT

পটুয়াখালীতে কুইজ প্রতিযোগিতা

Published: 3rd, February 2025 GMT

পটুয়াখালীতে কুইজ প্রতিযোগিতা

শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারিতে প্রতিযোগিতায় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন ও মৃত্তিকা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ১২ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে বাংলা বিভাগ থেকে খাতুনে জান্নাত, তানিয়া আক্তার মাহি ও আয়শা আক্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে নুসরত জাহান আয়শা, প্রসেনজিৎ দাস ও কানিজ ফাতেমা, রসায়ন বিভাগ থেকে কাওসার আহমেদ শিহাব ও দেবপ্রিয় সমাদ্দার পিউ এবং মৃত্তিকা বিভাগ থেকে চয়ন চন্দ্র শীলসহ ৯ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।  
অনুষ্ঠানে সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সংগঠন মানুষকে ভালো কিছু করার তাড়না দেয়, ভালো কাজের প্রেরণা জোগায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।’
জেলা সুহৃদ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পলাশ চন্দ্র হাওলাদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সুহৃদ উপদেষ্টা গাজী হানিফ, সৈয়দ আবদুল ওয়াদুদ ও সৈয়দ তাজুল ইসলাম, প্রাক্তন সুহৃদ শাহরিমা সুলতানা বাপ্পী, জেলা সুহৃদ সমাবেশের সহসভাপতি সাইয়ারা আফিয়া ঝুমুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঐশী রায়, অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ইউনিটের সভাপতি নাজমুল খান, সম্পাদক হাওলাদার অনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও হালিমা বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, সদস্য আল-কাইয়ুম প্রমুখ। v
সুহৃদ পটুয়াখালী

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার

স্বাধীনতার পর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা সবাই হিন্দুদের ব্যবহার করে শুধু নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার।

আজ শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা চত্বরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু কমিটির উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়ন ও ডুমুরিয়া-ফুলতলাসহ দেশের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে এখন প্রয়োজন ইসলামি সরকার। যাঁরা দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে ভয়-হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকিতে হিন্দুরা আর ভয় পাবে না। হিন্দুদের বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ৫৪ বছর যারা দেশ চালিয়েছে তারা সন্ত্রাস, দখলদারি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে হিন্দুদের শোষণ করেছে। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। লাঙলের শাসন দেখেছি, ধানের শীষের শাসন দেখেছি, নৌকার শাসনও দেখেছি। একটি দলই বাকি—জামায়াতে ইসলামী, তার প্রতীক দাঁড়িপাল্লা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়ের বিষয়টি তুলে ধরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, আগামীতেও সেই বার্তা জনগণ দেবে।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে দেড় হাজার শহীদ ও ৪০ হাজার আহতের কথা উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি দেব প্রসাদ মন্ডলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি আবুল খায়ের, শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন, শরাফপুর সর্বজনীন পূজা মন্দিরের গোঁসাই সাধু প্রমথ গাইন, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহসভাপতি হরিদাস মন্ডল, কানাই লাল কর্মকার ও প্রশান্ত কুমার মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, মাগুরখালী ইউনিয়ন সহসভাপতি সুজিৎ কুমার সরকার, ধামালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুন্ডু, রুদাঘয়া ইউনিয়ন সভাপতি বিপ্লব সরকার, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, খর্ণিয়া ইউনিয়ন সভাপতি নারায়ণ রাহা, মাগুরঘোনা ইউনিয়ন সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, সাহস ইউনিয়ন সভাপতি তন্ময় মন্ডল, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি নিরঞ্জন রায়, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি তরুন কুমার মন্ডল, শোভনা ইউনিয়ন হিন্দু কমিটির মহিলা সম্পাদক প্রিয়ংকা মন্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, আটলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অনিমেষ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি স্বদেশ হালদার, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অরুন কুমার আচার্য প্রমুখ।

হিন্দু সম্মেলন ঘিরে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে বর্ণিল মিছিল এসে জমায়েত হয়। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল ডুমুরিয়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

হিন্দু সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ারকে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
মতুয়া সংঘের সভাপতি সুদীপ্ত কুমার সুন্দর মন্ডল বলেন, ‘আমরা আর সংখ্যালঘু বলে পরিচয় শুনতে চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। স্বাধীনতার পর কোনো সরকার হিন্দুদের দাবিতে কাজ করেনি। এবার প্রমাণ হবে, হিন্দু মানেই একটি নির্দিষ্ট দল নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রদলের কমিটি নেই ১৪ মাস, স্থবির কার্যক্রম
  • মামলায় ঝুলে গেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন
  • গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
  • সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি
  • হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার: গোলাম পরওয়ার