Samakal:
2025-09-18@08:09:53 GMT

পটুয়াখালীতে কুইজ প্রতিযোগিতা

Published: 3rd, February 2025 GMT

পটুয়াখালীতে কুইজ প্রতিযোগিতা

শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারিতে প্রতিযোগিতায় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন ও মৃত্তিকা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ১২ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে বাংলা বিভাগ থেকে খাতুনে জান্নাত, তানিয়া আক্তার মাহি ও আয়শা আক্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে নুসরত জাহান আয়শা, প্রসেনজিৎ দাস ও কানিজ ফাতেমা, রসায়ন বিভাগ থেকে কাওসার আহমেদ শিহাব ও দেবপ্রিয় সমাদ্দার পিউ এবং মৃত্তিকা বিভাগ থেকে চয়ন চন্দ্র শীলসহ ৯ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।  
অনুষ্ঠানে সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সংগঠন মানুষকে ভালো কিছু করার তাড়না দেয়, ভালো কাজের প্রেরণা জোগায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।’
জেলা সুহৃদ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পলাশ চন্দ্র হাওলাদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সুহৃদ উপদেষ্টা গাজী হানিফ, সৈয়দ আবদুল ওয়াদুদ ও সৈয়দ তাজুল ইসলাম, প্রাক্তন সুহৃদ শাহরিমা সুলতানা বাপ্পী, জেলা সুহৃদ সমাবেশের সহসভাপতি সাইয়ারা আফিয়া ঝুমুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঐশী রায়, অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ইউনিটের সভাপতি নাজমুল খান, সম্পাদক হাওলাদার অনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও হালিমা বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, সদস্য আল-কাইয়ুম প্রমুখ। v
সুহৃদ পটুয়াখালী

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের