শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারিতে প্রতিযোগিতায় পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন ও মৃত্তিকা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ১২ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে বাংলা বিভাগ থেকে খাতুনে জান্নাত, তানিয়া আক্তার মাহি ও আয়শা আক্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে নুসরত জাহান আয়শা, প্রসেনজিৎ দাস ও কানিজ ফাতেমা, রসায়ন বিভাগ থেকে কাওসার আহমেদ শিহাব ও দেবপ্রিয় সমাদ্দার পিউ এবং মৃত্তিকা বিভাগ থেকে চয়ন চন্দ্র শীলসহ ৯ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সমকালের জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সংগঠন মানুষকে ভালো কিছু করার তাড়না দেয়, ভালো কাজের প্রেরণা জোগায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জোগায়।’
জেলা সুহৃদ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পলাশ চন্দ্র হাওলাদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সুহৃদ উপদেষ্টা গাজী হানিফ, সৈয়দ আবদুল ওয়াদুদ ও সৈয়দ তাজুল ইসলাম, প্রাক্তন সুহৃদ শাহরিমা সুলতানা বাপ্পী, জেলা সুহৃদ সমাবেশের সহসভাপতি সাইয়ারা আফিয়া ঝুমুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঐশী রায়, অর্থবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ইউনিটের সভাপতি নাজমুল খান, সম্পাদক হাওলাদার অনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও হালিমা বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, সদস্য আল-কাইয়ুম প্রমুখ। v
সুহৃদ পটুয়াখালী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
তিন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ প্রস্তাবের ওপর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে ঐকমত্য কমিশন আরও কিছু নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।
তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস্ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য।
গতকালের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, এসব প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। যদি এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা কার্যকর করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কমিশনের আজকের বৈঠকে আলোচনার কথা রয়েছে।