মাদারীপুরের কুমার নদে গোসল করতে নেমে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের তরমুগরিয়া হাইক্কারমার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালাচ্ছে।

নিখোঁজ দুই শিশুর নাম মিরাজ মাতুব্বর (৭) ও কুলসুম আক্তার (১২)। তারা দুজন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার লিটন মাতুব্বর ও মিনোয়ারা বেগমের সন্তান। দুজনই মাদারীপুর শহরের একটি নুরানি ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের তরমুগরিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন লিটন মাতুব্বর ও মিনোয়ারা বেগম দম্পতি। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁদের সংসার। প্রতিদিনের মতো লিটন মাতুব্বর ভাঙারি কেনাবেচার কাজে বাইরে যান। মা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সুযোগ মাদ্রাসা থেকে এসে পাশের কুমার নদে গোসল করতে যায় ভাই-বোন। বেলা একটার দিকে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল দুই শিশুর সন্ধানে নদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ শিশুদের মা মিনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাকে না বলেই ওরা গোসলে গেছিল। আশপাশের লোকজন ওদের ডুবে যেতে দেখেছে। হায় আল্লাহ এ আমার কী হয়ে গেল।’

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, ভাই-বোন নিখোঁজের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান চলছে।

এদিকে দুই শিশুর নিখোঁজের খবরে নদের দুই পাড়ে ভিড় করে উৎসুক জনতা। জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই শিশুর নদে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।

ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ