‘সুড়ঙ্গ’  সিনেমার দুই বছর পর অভিনেত্রী তমা মির্জাকে নিয়ে ফের বড় পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা আফরান নিশো। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে তার আসন্ন সিনেমা ‘দাগি’র শুটিং। প্রায় ২ মাস ৫ দিন পর ক্যামেরা ক্লোজ হলো সিনেমাটির। এখন বাকি পোস্ট প্রডাক্টশনের কাজ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মঙ্গলবার রাতে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরিচালক শিহাব শাহীন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইটস র‍্যাপ আপ’। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘দাগি’। 

ভিডিওতে দেখা যায়, শুটিং শেষ হওয়ার খুশিতে নির্মাতাসহ বাকী কলাকুশলীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। সবাই একসঙ্গে হাত উঁচু করে, ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘র‍্যাপ আপ’! ভিডিওতে খানিকটা মজার ছলে আফরান নিশো বলেন, ‘সকল মুখের ঝগড়ার সমাপ্তি। এখন থেকে হাতাহাতি হবে!’

এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে সৈয়দপুরে ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এর পর পঞ্চগড়, রাজশাহী, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, ঢাকায় সিনেমাটির শুটিং হয়।

‘দাগি’ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট ও চরকি। সিনেমাটিতে আফরান নিশো ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনোজ প্রামাণিক, শহিদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন 

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এবং আসামি গ্রেপ্তারে বিলম্ব করার অভিযোগ এনে বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদের অপসারণের দাবি মানববন্ধন করা হয়েছে। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় সেতাবগঞ্জ চৌরাস্তায় মানববন্ধন শেষে ঝাড়ু মিছিল নিয়ে থানার প্রধানগেটে মিছিল করে  স্থানীয়রা। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সন্ত্রাসী হামলায় আহত শাহরিয়ার শিশিরের বাবা সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সেতাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নওশাদ আলী, দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেদওয়ানুল কারীম রাবিদ, পৌর বিএনপির উপদেষ্টা এমওয়ালী ফ্লাড, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াদ হাসান চৌধুরী, এমরুল রেজা, মাসুদ খাঁন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রীতি আক্তার নিশি, সাবেক কাউন্সিলর মামুন প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী সমাবেশ 

মুন্সীগঞ্জে গুমে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন 

তারা বলেন, বোচাগঞ্জের মাটিতে একের পর এক সন্ত্রসী ঘটনা ঘটছে কিন্তু বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ সরকার সেই সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে মামলা নেন না। কারণ ওই সন্ত্রাসীরা হলেন তথাকথিত সমন্বয়ক ফয়লাল মোস্তাকের ক্যাডার বাহিনী। তিনি মামলার বাদীকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর নাম বাদ দিয়ে মামলা করতে বাধ্য করেন। তার পরও এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না। 

তারা অবিলম্বে ওসি হাসান জাহিদের অপসারণ ও কিশোর গ্যাংয়ের সকল সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

এ বিষয়ে বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ সরকার জানান, গত ৯ জুন সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শাহরিয়ার শিশিরকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।  

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা আমার কাছে অবৈধভাবে সুবিধা নিতে পারেননি। তাদের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করছেন। আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। আর যে মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। ওই মামলার আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন বলে আমি আদালত মারফত জানতে পেরেছি।’’

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ