সেরাটা দিয়েছি বলেই নিমার্তারা আমার কাছে আসেন: ভূমি
Published: 27th, February 2025 GMT
২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘দম লাগাকে হাইসা’ সিনেমার দিয়ে বলিউডে পা রাখেন ভূমি পেড়নেকর। অতিরিক্ত ওজনের এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। দেখতে দেখতে বলিউডে ১০ বছর কাটিয়ে ফেললেন ভূমি। দীর্ঘ সময়ে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
ভূমি বলেন, ‘আমি সত্যি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। কারণ, আমি এখনও যা ভালবাসি সেটাই করতে পারি। আমার এখনও মনে আছে যেদিন ‘দম লাগাকে হাইসা’ সিনেমার প্রিমিয়ার হয় আমি সেই প্রিমিয়ার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। সিনেমা হিট হবে না ফ্লপ, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা ছিল না আমার।’
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার প্রথম সিনেমা যখন মুক্তি পায় এবং সেটি যখন হিট হয়েছিল সেটাই আমার কাছে বড় পাওনা ছিল। যেহেতু আমি কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসিনি, তাই আমার নিজেকে প্রমাণ করার কোনও দায় ছিল না। একজন অতিরিক্ত ওজনের নারীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম থেকেই নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু একজন বহিরাগত তাই সিনেমা হিট হোক বা ফ্লপ, আমাকে সিনেমা করতেই হবে এমন কোনও চাপ আমার ওপর কোনওদিন ছিল না। তবে সব সময় ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি এবং প্রত্যেকটি সিনেমায় নিজের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আর তাই হয়তো পরিচালকরা বারবার আমার কাছে আসেন।’
কিছুদিন আগে ভারতীয় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মতে, গত কয়েক দশকে শিক্ষার হার বাড়লেও মহিলাদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচার এতটুকু কমেনি। যে কারণে ঘরে ও বাইরে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। অন্যদের মতো আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমনই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটে। এ দুশ্চিন্তা বিনোদন জগতের বাইরের মহিলাদের নিয়েও।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’। সিনেমায় ভূমির সঙ্গে অভিনয় করেছেন অর্জুন কাপুর, রাকুল প্রীত সিং। দুর্ভাগ্যবশত সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ আত্মসাত: খুলনায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
খুলনায় প্রবাসীর হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের মামলায় আফসানা শাহিন মুন্নী (৩৬) নামে নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে খুলনা থানা পুলিশ ঢাকার মুগদা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আফসানা শাহিন মুন্নী সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক খুলনা শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনা মহানগরীর ইস্পাহানি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
আল হাদিস বাট্রি নামক একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৮ এপ্রিল তার স্ত্রী আফসানা ইয়াসমিন তৃষ্ণা বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার আফসানা শাহিন মুন্নিসহ ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব কমল, খসড়ার নীতিগত অনুমোদন
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্লা জুয়েল রানার নেতৃত্বে খুলনা থানার একটি টিম ঢাকা থেকে মুন্নিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর খালিশপরস্থ গোয়ালখালী বাস্তহারা কলোনী এলাকার সোহরাব হোসেনের কন্যা আফসানা ইয়াসমিন তৃষ্ণা এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী আল হাদিস বাট্রি মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন যাপন করেন। তিনি প্রবাসে থেকে ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে নিজ নামে খুলনা মহানগরীর আপার যশোর রোডস্থ সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক শাখায় হিসাব খোলেন। পরবর্তীতে ওই হিসাবে বিভিন্ন সময় মোট ১০ লাখ ২ হাজার টাকা জমা করা হয়। তার স্বামী চলতি বছরের ১৮ মার্চ দেশে ফিরে অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার একাউন্টে মাত্র ৩ লাখ ২ হাজার টাকা রয়েছে এবং বাকি ৭ লাখ টাকা নেই বলে জানান। তাৎক্ষণিক তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট বের করে দেখতে পান, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আরটিজিএসর মাধ্যমে তার হিসাব থেকে আসামিদের একজনের ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাবে ৭ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আরটিজিএস এর মাধ্যমে অর্থ ট্রান্সফার করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের দাতা বা হিসাবধারীর উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু তার স্বামী তৎকালীন সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। এ সুযোগে আসামিরা পরস্পর যোগসাজোসে ভুয়া লোক সাজিয়ে এবং কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা সমাধান দেননি।
অভিযোগে জানা গেছে, এর আগেও আফসানা শাহিন মুন্নি জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে তিনি জনৈক গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেন। এ সব কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক খুলনা শাখার ম্যানেজার হাফিজ আহমেদ জানান, তিনি নতুন যোগদান করায় বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল