জবাই করা ৬৯৭টি পাখিসহ তিনজন গ্রেপ্তার
Published: 5th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৬৯৭টি জবাই করা পাখি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ গেট এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. ছৈয়দুল আলম (৬০), মো. ইদ্রিস (৬৫) ও মো. সোহেল (৩০)। তাঁরা চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের কাছে থাকা তিনটি বস্তা থেকে জবাই করা ১৩৫টি শালিক, ৪২২টি চড়ুই ও ১৪০টি বাবুই পাখি উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই তিন ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে আনোয়ারার ইছামতী নদীর আশপাশের এলাকা থেকে এসব পাখি শিকার করেছেন। এরপর এসব পাখি জবাইয়ের পর তিনটি বস্তায় ভরা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় বস্তা তিনটি নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁরা চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, এসব পাখি নগরে নেওয়ার পর পালক ছাড়িয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। এর আগেও তাঁরা একইভাবে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পাখি সরবরাহ করেছেন। আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।