চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কাঠের চেলা দিয়ে আঘাত করে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠেছে জামাতার বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওষখাইন পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম রশিদা বেগম (৪৫)। তিনি ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্তের নাম হেলাল উদ্দিন (২৪)। তিনিও একই গ্রামের মো.

ফরিদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, হেলালের সঙ্গে দুই বছর আগে রশিদা বেগমের মেয়ে হাফসা আক্তারের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। আগে হেলাল মুদিদোকান করলেও বছরখানেক ধরে বেকার রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী হাফসা আক্তার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সংসারের খরচ চালানো নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকত হেলালের। এরই জেরে কিছুদিন আগে রশিদা বাবার বাড়ি চলে আসেন। গতকাল শনিবার রাতে কিছু টাকা চেয়ে হেলাল সেখানে যান। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে আবারও তাঁর ঝগড়াঝাঁটি হয়।

বাসিন্দারা জানান, ঝগড়ার জেরে ভোরে ঘরের অদূরে হাফসা আক্তার ও তাঁর ছোট ভাইকে দেখতে পেয়ে মারধরের উদ্দেশ্যে দৌড়ানি দেন হেলাল। এরপর শাশুড়িকে দেখতে পেয়ে তাঁকে কাঠের চেলা দিয়ে অতর্কিত আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রশিদা বেগমের মৃত্যু হয়।

হাফসা আক্তার বলেন, বিয়ের আগে থেকেই তাঁর স্বামীর অনেক কর্জ। প্রতি মাসে এসব কর্জ শোধ করা নিয়ে দুজনের ঝগড়া হতো। গতকাল রাতে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ঝগড়ার জেরে ভোরে তাঁকে দৌড়ানি দেন স্বামী হেলাল। তাঁকে ধরতে না পেরে তাঁর মাকে খুন করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন পলাতক। তাঁর ঘরও তালাবদ্ধ দেখা যায়। তাই অভিযুক্ত হেলালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে নিহত রশিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, জামাতার আঘাতে শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ