মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, এক সপ্তাহ পর বাবার লাশ উদ্ধার
Published: 12th, March 2025 GMT
বরগুনায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার এক সপ্তাহ পর বাবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বাড়ির পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ব্যক্তি (৪০) বরগুনা পৌর বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন।
পরিবারের স্বজনরা জানান, স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মার্চ মামলা করেন ওই ব্যক্তি। মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার জেরে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করেছেন তারা।
নিহতের স্ত্রী বলেন, স্বামী মোবাইলফোনে জানিয়েছিলেন, ফিরতে একটু দেরি হবে। অনেক রাতেও বাড়ি না ফিরলে মোবাইলে কল করি। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে মোবাইলের রিংটোন শোনা যায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তার মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বাড়ির পেছন থেকে কাদামাখা লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, ওই ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মার্চ মামলা হয়েছে। একমাত্র আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিবার দাবি করতেই পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।