কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু
Published: 16th, March 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রবেশপত্র ডাউনলোড। আগামী ১০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বিস্তারিত তথ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী শিক্ষার্থী ৬৪ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। সব কটি ভর্তি পরীক্ষা কুমিল্লাতেই অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে নতুন বিজ্ঞপ্তি, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থান, যাদের সুযোগ২ ঘণ্টা আগেমোট আবেদনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) ৩৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩২ হাজার ৬৫৮টি। ফলে এই ইউনিটে আসনপ্রতি শিক্ষার্থী লড়বে ৯৩ জন। ‘বি’ ইউনিটে (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন অনুষদ) ৪৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২৩ হাজার ৭৯২টি। এখানে আসনপ্রতি লড়বে ৫৪ জন। সর্বশেষ ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ) ২৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৯ হাজার ৯৫২টি। ফলে এখানে আসনপ্রতি লড়বে ৪১ শিক্ষার্থী।
নম্বর বন্টন কীভাবে—কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় (শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২০২৫) ১৫০ নম্বরের পরিবর্তে ১২০ নম্বরের উপর ভিত্তি করে মেধা স্কোর নির্ণয় করা হবে (এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুন করা হবে এবং এমসিকিউ পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হবে)
আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়১৩ মার্চ ২০২৫পরীক্ষা কবে—প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় ‘সি’ ইউনিট এবং একই দিনে বিকেল ৩টায় ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায়।
আরও পড়ুনশেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে বৃত্তি : নগদ অর্থ নয়, মিলবে অর্থছাড়৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসন র ব পর ত র ভর ত পর ক ষ ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ