ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাইক্রোস্ট্যান্ডের লোকজনদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলা সদরের উচালিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

হামলায় আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইরফান খান, আলিফ মাহমুদ নাহিদ ও মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম। এর মধ্যে ইরফান খানের অবস্থা গুরুতর। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সরাইলের ইউএনও মোশারফ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়ামসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। 

আহতরা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কে ধরন্তী এলাকায় একটি মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে উচালিয়া পাড়া মাইক্রোস্ট্যান্ডে চলে আসে। গাড়িটির পিছু নিয়ে স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটিকে ওই মাইক্রোস্ট্যান্ডে দেখতে পেয়ে আটক করে। খবর পেয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে পুলিশকে খবর দেন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধিরা ওই মাইক্রোবাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যেতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে মাইক্রোস্ট্যান্ডের লোকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় হঠাৎ একটি ঢিল পড়ে মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাইক্রোস্ট্যান্ডের সভাপতি হেলালের নেতৃত্বে স্ট্যান্ডের লোকজন ছাত্র প্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় অন্তত তিনজন আহত হন। 

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

রফিকুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য মাইক্রোস্ট্যান্ডের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় আহত

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক

এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়। 

সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত