ডেন্টালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদন শুরু ২৫ মার্চে, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো
Published: 19th, March 2025 GMT
দেশের বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে আবেদন শুরু হবে ২৫ মার্চ, এ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। এ কোর্সে মূল ভর্তির কার্যক্রম আগামী ১২ মে শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে (http://dgmc.
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ২১ এপ্রিল নির্বাচিত ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মেসেজ দেওয়া হবে। প্রথম নিশ্চয়নের শেষ তারিখ ২৬ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় নিশ্চায়ন করতে হবে ৪ মে’র মধ্যে। ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মে।
আরও পড়ুন‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে অনুমোদন পেল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়১৬ ঘণ্টা আগেঅনলাইন ফরম পূরণের নিয়মে বলা হয়েছে, অনলাইন আবেদনে শিক্ষার্থীকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত USER ID ও Password–এর মাধ্যমে টেলিটক সফটওয়্যারে BDS Non Government ট্যাব নির্বাচন করে ওয়েবলিংকে লগইন করতে হবে। বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে দেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করার সময় প্রার্থীরা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য যে প্রমাণপত্র ব্যবহার করেছেন, তা সিস্টেম দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচিত হবে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন ১৭ মার্চ ২০২৫গুরুত্বপূর্ণ তারিখ-* অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: ১৭ মার্চ
* অনলাইন আবেদন শুরু: ২৫ মার্চ (দুপুর ১২টা)
* অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ: ১৫ মার্চ (রাত ১১টা ৫৯ মিনিট)
* আবেদন ফি জমাদানের শেষ তারিখ: ১৬ এপ্রিল (রাত ১১টা ৫৯ মিনিট)
* তালিকা প্রকাশ ও এসএমএস প্রদানের তারিখ: ২১ এপ্রিল
* প্রথম নিশ্চায়নের শেষ তারিখ: ২৬ এপ্রিল
* দ্বিতীয় নিশ্চায়নের এসএমএস প্রদানের তারিখ: ৩০ এপ্রিল
* দ্বিতীয় নিশ্চায়নের শেষ তারিখ: ৪ মে
* ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ: ৮ মে
* ভর্তি শুরুর তারিখ: ১২ মে
* ভর্তির শেষ তারিখ: ১৯ মে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল কল জ পর ক ষ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ