Samakal:
2025-11-03@06:44:44 GMT

পদাবলি

Published: 20th, March 2025 GMT

পদাবলি

ঘুমকুয়াশা 
মারুফুল ইসলাম

চোখের মাঝে দেখি চোখের আলো
ঘুমকুয়াশা পাহাড়ে মন টানে
মেঘ মজেছে সোনালি উত্তাপে
অবুঝ ঠোঁট অতীত ভেবে কাঁপে

চোখের মাঝে দেখি চোখের ছায়া
মন রয়েছে মনের ভারে নুয়ে
ঘামের ঘ্রাণে শরীর এলোমেলো
স্মৃতির চেয়ে স্মৃতির ব‍্যথা ভারী

চোখের মাঝে দেখি চোখের জাদু
রক্ত সে কি ঘুচায় শর্বরী
সুনীল দিন সাগরজলে ডাকে
জীবন আঁকে জঙ্গলের ছবি

 

মন খারাপ  
নভেরা হোসেন

মন খারাপ এখন বৃষ্টিতে ভিজছে
চরাচর ভিজে যাচ্ছে মুষলধারায়
তার সাথে মন খারাপও ঝরছে
একটানা কখনও থেমে থেমে
আকাশে বিদ্যুৎ চমক
সারা দুনিয়া ধূসর হয়ে উঠেছে
বৃক্ষচারীরা মাটিতে নেমে এসেছে 
নুহের প্লাবন মনে পড়ছে
প্রাণিকুল জোড়া বেঁধে আছে
তুমি শুধু একজন একক
লাটিমের মতো ঘূর্ণায়মান 
আসমানব্যাপী মাশরুম চাষ 
ঝাঁকে ঝাঁকে মিগ্ টুয়েন্টিফোর
চোয়ালের মাংস কিছুটা ঝুলে পড়েছে
কোনো কিছুই চিরন্তন নয় 
কোনো মানুষ, প্রেম-ঘৃণা-ভালোবাসা 
তবু যেন এই মুহূর্তে দারুণ এক টর্নেডো 
ভেদ করেছে তোমাকে 
এফোঁড় থেকে ওফোঁড়
চারদিকে ধু-ধু প্রান্তর
ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছ নিজেকেই
এ যেন অনন্ত বহমান 
আদি নেই অন্ত নেই 
খুঁড়ে চলেছ পাতালের ঠিকানা 
বুক থেকে গল গল করে রক্ত ঝরছে
চোখ থেকে অশ্রু বৃষ্টি
তোমরা কেউ এখানে এসো না
শূন্যতা ভেদ করে অচিনের খোঁজে
বাড়ির পাশে আরশিনগর
সেথায় এক পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে
এ এক অনন্ত যাত্রা
মন খারাপ আজ মাটিতে লম্বমান
ঝরে পড়ছে অঝোর ধারায়   
গুঁড়ো গুঁড়ো মিহিদানা 
জামদানির ঝালরকাটা প্রকৃতির জলরঙে   

 

মিলিয়ে যাবার আগে 
সুমী সিকানদার 
ঠিক মধ্যপথে দাঁড়িয়ে পড়েছি।
সামনে যাবার যেমন কোনো বাঁক নেই
পেছনে তাকাবার তেমন কোনো আলোও নেই;
যাতে করে আমি দেখতে পাই পুরোনো ঘর বা বারান্দায় টাঙানো ছবি।
ছোট একজীবন, ছোট ছোট তোমার-আমার যত ভুল 
রেহাই দেয়নি আমাদের।
আমি বরাবর বিদ্ধ ক্ষতযুক্ত
আমি বরাবর শব্দহীন বিক্ষিপ্ত 
আর তুমি উধাও।
কথা বলতে পারিনি তা নয় 
যা বলেছি অসময়ে 
যার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছিল বেলা বাড়ার আগেই।
আচমকা থেমে যাওয়া সকল কথা 
আমাকে পুরোনো কোলাহলের মধ্যমা মনে করায়
যে সময়টুকু ভরা প্রাণে,
সুহাসিনী ফুলের তাড়ায়, বিরল বাতাসে ওড়া আমি।
তখন সম্ভবত আমার অন্য ভাষার নাম ছিল
তুমি ছিলে একমাত্র দোভাষী।
নাহ এ মুহূর্তে আর সে সব দিনের ভাষায় ভরসা নেই 
এখন এই মধ্যপথে আমি
দ্রুত সিদ্ধান্তের মুখোমুখি।
পরাজিত ক্ষতগুলো লুকিয়ে ফেলেছি সদ্য হারানো কুয়াশায় 
বেশ হাসির খোরাক হতাম তা না হলে।
বিলম্ব মায়ায় কিছু বন্ধু জানে আমি ভালোবাসি কাঁচাফুল
আমি তার নাম ভালোবাসি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন খ র প

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।

ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ