বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় পলাতক যুবক কেরানীগঞ্জে গ্রেপ্তার
Published: 22nd, March 2025 GMT
বরগুনায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সজীব (৩৫)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার কালির তবক এলাকার মনু ফিটারের ছেলে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বরগুনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। মামলার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এবং সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বরগুনা সদরে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাগানবাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি সজীব। এ ঘটনায় কিশোরীর মামা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে সজীব আত্মগোপনে চলে যান। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সজীবকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১০-এর অধিনায়ককে একটি পত্র পাঠান। সেই পত্রের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুনকুটিয়া এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। গ্রেপ্তার সজীবকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি