ভারতের যে কজন বিতর্কিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আছেন, ইরফান পাঠান তাদের মাঝে অন্যতম। ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান দলের হার নিয়ে মজা করার পর হয়েছিলেন সমালোচিত। সাবেক এই বাঁহাতি পেসারকে এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কয়েক জন ক্রিকেটারের অভিযোদের প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় ইরফানের নাম প্রতি বছরই দেখা যায়। তবে ধারাভাষ্যের সময় কয়েক জন ক্রিকেটারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত রাগ প্রকাশ করতেন তিনি। সেই কারণেই এই শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে।

ধারাভাষ্যের সময় নিরপেক্ষ হয়ে বিশ্লেষণ করতে হয়। তাই যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা স্বাভাবিক। তবে গত দুই বছর ধরে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিছু ক্রিকেটারের লাগাতার সমালোচনা করছিলেন ইরফান। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ়ে ইরফান কে ক্রিকেটারের এত সমালোচনা করেছিলেন যে, তিনি রাগে ইরফানের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

প্রথম আসরের স্মৃতি ফিরিয়ে শুরুতেই কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচ

রাম নবমীর জন্য নিরাপত্তাহীনতায় আইপিএলের ম্যাচ!

বিসিসিয়াইয়ের এক সূত্রের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরফানকে আগে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। গত দুই বছর ধরে লাগাতার এই ঘটনা ঘটছে। তিনি ব্যক্তিগত বিষয় ধারাভাষ্যের সময় তুলে ধরছেন। ইচ্ছা করে কয়েক জন ক্রিকেটারের সমালোচনা করছেন। ইরফানের বিপক্ষে সমালোচিত ক্রিকেটাররা বিসিসিআইয়ে অভিযোগ করেছেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইরফ ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন আরফান হোসেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’’

আরফান হোসেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনটারী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নুর ইসলাম দিনমজুর ও মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। পরিবারের অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহান উদ্দিন স্নাতক পড়ছেন এবং আক্কাস আলী পড়ছেন এইচএসসিতে। দুই বোন মালেকা খাতুন ও কাজলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে।

আরফান হোসেন বলেন, ‘‘ফেলানী হত্যার পর সারা দেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকে ইচ্ছে ছিল; বিজিবিতে চাকরি করব। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’’

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে, দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়েছে। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে ছিল। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে।

ঢাকা/সৈকত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ