আগের ম্যাচেই টি-টোয়েন্টির নতুন রেকর্ড গড়ে জিতেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দলটি ১৬ ওভারের মধ্যে তাড়া করেছিল ২০৪ রান। সেই পাকিস্তানই আজ ২২১ রান তাড়ায় গুটিয়ে গেছে ১০৫ রানে।

ফর্ম ধরে রেখে আরেকটি বড় জয় অথবা লড়াই করে ভালো খেলার ধারাবাহিকতার বদলে পাকিস্তান ম্যাচ হেরেছে ১১৫ রানে। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান নিয়ে বহুল চর্চিত সেই কথাই—অননুমেয় (আনপ্রেডিক্টেবল)।  

এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও হেরেছিল পাকিস্তান। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজকের এই হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জন্য আজ লক্ষ্য ছিল ২২১ রানের। মানে পাকিস্তানের জন্য ঝোড়ো শুরুর বিকল্প ছিল না। তবে গত ম্যাচে ২০ বলে ৪১ রান করা মোহাম্মদ হারিস আজ আউট হয়েছেন ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। আগের ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া হাসান নেওয়াজ ফিরেছেন ৪ বলে ১ রান করে। অধিনায়ক সালমান আগাও আউট হন ১ রানে।

২ ওভারে ৯ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। পরের দিকের ব্যাটসম্যানেরাও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৪৪ রান করেছেন আবদুল সামাদ। তাঁর এই ইনিংসেই ৫৬ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তানের রান ১০০-এর গণ্ডি পার হয়। ইরফান খান করেন ২৪ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে জ্যাকব ডাফি ২০ রানে ৪টি এবং জাকারি ফোকস ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড বড় রানের সংগ্রহ গড়ে টপ অর্ডারের সৌজন্যে। টিম সাইফার্টের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৪.

১ ওভারেই নিউজিল্যান্ড তুলে ফেলে ৫৯ রান। ২২ বলে ৪৪ রান করেন সাইফার্ট। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন করেন ১৯ বলে ফিফটি। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহটা আরও বড় হতেই পারত। কারণ প্রথম ১০ ওভারে ১৩৪ রান করা নিউজিল্যান্ড শেষ ১০ ওভারে তুলতে পারে ৮৬ রান। হারিস রউফ নিয়েছেন ৩ উইকেট, আবরার আহমেদ ২টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২২০/৬(অ্যালেন ৫০, ব্রেসওয়েল ৪৬; রউফ ৩/২৭, আবরার ২/৪১)
পাকিস্তান: ১৬.২ ওভারে ১০৫/১০ (সামাদ ৪৪, ইরফান ২৪; ডাফি ৪/২০, ফোকস ৩/২৫)
ম্যাচসেরা: ফিন অ্যালেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ