‘গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ করতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাব’
Published: 24th, March 2025 GMT
যে দেশ বোমাবর্ষণ করে, তারাই আবার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, উল্লেখ করে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেছেন, যার যার অবস্থান থেকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ করতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাব।’
পশ্চিমা বিশ্বের মদদে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনি শহীদ শিশুদের স্মরণে আজ সোমবার সকালে এক সমাবেশে এ কথা বলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এ সমাবেশের আয়োজন করে দৃক পিকচার লাইব্রেরি।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান ভয়ানক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম বলেন, একদিন না একদিন ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতেই হবে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনসহ পুরো বিশ্বের সব শিশু যেন সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, সেই দায় আমাদের সবার। এই গণহত্যার প্রতিবাদ করতে না পারলে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেই দেশ বোমাবর্ষণ করে, তারাই মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোও এ বিষয়ে নীরব থাকে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করতে হবে।’
সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা জানানো হয়। রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি, ঢাকা, ২৪ মার্চ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।