যে দেশ বোমাবর্ষণ করে, তারাই আবার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, উল্লেখ করে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেছেন, যার যার অবস্থান থেকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ করতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাব।’

পশ্চিমা বিশ্বের মদদে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনি শহীদ শিশুদের স্মরণে আজ সোমবার সকালে এক সমাবেশে এ কথা বলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এ সমাবেশের আয়োজন করে দৃক পিকচার লাইব্রেরি।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান ভয়ানক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম বলেন, একদিন না একদিন ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতেই হবে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনসহ পুরো বিশ্বের সব শিশু যেন সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, সেই দায় আমাদের সবার। এই গণহত্যার প্রতিবাদ করতে না পারলে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেই দেশ বোমাবর্ষণ করে, তারাই মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোও এ বিষয়ে নীরব থাকে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করতে হবে।’

সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা জানানো হয়। রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি, ঢাকা, ২৪ মার্চ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা

তেলেগু সিনেমার মহাতারকা সাবিত্রী, যাঁকে একসময় মাধুবালা ও মীনা কুমারীর সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলনা করা হতো। তাঁর জীবনের গল্প দর্শকদের মনে আজও গভীর ছাপ রেখেছে। ১৯৮০-এর দশকে তিনি ছিলেন দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ১৯৬০-এর দশকে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি রুপি। কিন্তু ব্যক্তিগত নানা ঝামেলায় পাদপ্রদীপের আলো থেকে হারিয়ে যান অভিনেত্রী। তিনি আর কেউ নন, সাবিত্রী।

স্বপ্নের শুরু ও প্রেমের পথচলা
সাবিত্রী ছোটবেলা থেকেই নাচ ও অভিনয়ে দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিশোর বয়সে সিনেমার দুনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা শুরু করেন। মাদ্রাজের জেমিনি স্টুডিওসে কাজের সুযোগ খোঁজার সময় তিনি এক যুবক রামাসমি গণেশনের (পরবর্তী সময় ‘জেমিনি’ নামে পরিচিত) সঙ্গে দেখা করেন। গণেশন তখন স্টুডিওতে কাস্টিং সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি সাবিত্রীর ছবি তুলে লিখেছিলেন, ‘সুযোগ দিলে ভালো হবে।’
পরবর্তী সময় সাবিত্রী চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৫২ সালে এন টি রামা রাওয়ের সঙ্গে ‘পেল্লি চেসি ছুডু’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা পান। গণেশনও অভিনয় শুরু করেন। দুজনের বন্ধুত্ব ক্রমে প্রেমে পরিণত হয়। সাবিত্রী ও গণেশন বিয়ে করেন। যদিও গণেশন এরই মধ্যে বিবাহিত ছিলেন।

গোপন বিয়ে ও স্বামীর প্রতারণা
সাবিত্রী ও গণেশন তাঁদের বিয়ের খবর প্রথমে গোপন রাখেন। এটি প্রকাশ পায়, যখন সাবিত্রী একটি হেয়ার অয়েলের বিজ্ঞাপনে স্বাক্ষর দেন ‘সাবিত্রী গণেশ’ নামে। তখনই গণেশনের একাধিক সম্পর্ক ও প্রতারণা খবরের শিরোনামে আসে।

সাবিত্রী। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখ খান: গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী