ইস্টার্ণ ব্যাংক পিএলসি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। বাকি ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ইস্টার্ণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণা অনুসারে, সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ টাকা ৫১ পয়সা (রিস্টেটেড)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, কোম্পানির পুঁজিভিত্তি শক্তিশালী করতে এই স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের সম্ভাব্য ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি এবং আইন অনুসারে কিছু অনুপাত বৃদ্ধি করতে এই লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে এই স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

কোম্পানির সংরক্ষিত পুঁজি থেকে বা এমন যে মুনাফা এখনো হয়নি তার ভিত্তিতে এই স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ক্ষতি করেও এই মুনাফা দেওয়া হবে না।

ইস্টার্ণ ব্যাংক ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং একই পরিমাণে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক বছরে ইস্টার্ণ ব্যাংকের শেয়ারের সর্বেোচ্চ দাম ছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা।

ইস্টার্ণ ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ বছর ধরে ৩ শতাংশের ঘরে। আর্থিক সূচকের পাশাপাশি ভাবমূর্তিতেও অনেক শক্তিশালী ব্যাংকটি। সেবার মানেও ব্যাংকটি এগিয়ে। গত বছর শেষে ইস্টার্ণ ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

আগামী ২১ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ এপ্রিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে

আর মাত্র এক দিনের অপেক্ষা। এরপরই শুরু হবে বহুল আলোচিত ক্লাব বিশ্বকাপের মহারণ। রোববার সকাল ছয়টায় স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি ও আল আহলির মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আন্তমহাদেশীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।

এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফিকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে দলগুলো। যেখানে এক মাসব্যাপী দেখা যাবে তারার দ্যুতিও। তবে ক্লাবের বিশ্বকাপের ঝলমলের প্রদীপের নিচে আছে কিছু অন্ধকারও।নিয়মের কারণে বেশ কিছু শীর্ষ দল ও তারকাদের এই টুর্নামেন্টে থাকতে হবে দর্শক হয়ে। ক্লাবগুলোর মধ্যে যে তালিকায় আছে ইউরোপে চলতি মৌসুমের তিনটি চ্যাম্পিয়ন দলও।

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে কেবল বুন্দেসলিগাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ফরাসি লিগ আঁ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, লা লিগা বিজয়ী বার্সেলোনা এবং সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে দেখা যাবে না এই প্রতিযোগিতায়।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে রিয়াল মাদ্রিদ যেখানে ব্যতিক্রম৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনা, লিভারপুল এবং নাপোলি কেন জায়গা পায়নি

ফিফার ঠিক করা নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সময়ের মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় যারা মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে তারাই শুধু জায়গা পাবে। এ নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪—এই চার বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী চেলসি (২০২১), ম্যানচেস্টার সিটি (২০২৩) ও রিয়াল মাদ্রিদ (২০২২ ও ২০২৪) ক্লাব বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে।

দারুণ ছন্দে থাকা বার্সা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ বিএসইসির
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • বেসরকারি খাত পিপিপিতে আকৃষ্ট নয়, বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • কমপ্লায়েন্সের অভাবে ধুঁকছে চামড়া খাতের রপ্তানি
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ
  • মেটার কাছে সরকার ৩,৭৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে