বরগুনার গলাচিপা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ইমরান পরিবহন নামের একটি বাসে ডাকাতি হয়েছে। এসময় তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৩টার দিকে বাকেরগঞ্জ- বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কের গলাচিপা এলাকায় ঘটনা ঘটে।
বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “কাছাকাছি এলাকায় পুলিশ টহলরত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাত দলের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করব।”
আরো পড়ুন:
সাভারে চলন্তবাসে ছিনতাইয়ের অভিযোগ, আটক ৩
ওসমানী মেডিকেল
সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ হামলা, আহত ৩
যাত্রীরা জানান, রাত ১০টার দিকে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে আসে ইমরান পরিবহনের বাসটি। সড়কে গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে ডাকাতি করে সশস্ত্র ডাকাত দল। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনলুট করে নিয়ে যায়।
বাসটির যাত্রী হেমায়েত উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “চান্দখালী এলাকা পাড় হয়ে গলাচিপা এলাকায় প্রবেশ করতেই সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতরা। তারা তিনটি বাসের গতিরোধ করে। ইমরান পরিবহনের একটি বাসে হামলা চালায় সশস্ত্র ডাকাতরা। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, গহনা, নতুন পোশাকসহ যার কাছে যা পেয়েছে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এরপর ডাকাতরা চলে যায়।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ইমর ন বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি