বরগুনাগামী দুই লঞ্চের কর্মচারীদের সঙ্গে যাত্রীদের মারামারি, আটক ২৮
Published: 30th, March 2025 GMT
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি রয়্যাল ক্রুজ’ ও ‘রাজারহাট সি’ লঞ্চ ধীরগতিতে চালানো ও খাবারের দাম বেশি রাখাকে কেন্দ্র করে যাত্রী ও লঞ্চের কর্মচারীদের দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে দুই লঞ্চের বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ভোরে দুই লঞ্চের ২৮ যাত্রীকে আটক করেছে বেতাগী থানা-পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে এমভি রয়েল ক্রুজ ও এমভি রাজারহাট সি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মধ্যরাতে লঞ্চ ধীরগতিতে চলা এবং লঞ্চের ভেতরের সাহ্রির খাবারের প্যাকেজের দাম বেশি রাখা নিয়ে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে লঞ্চের কর্মচারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীদের সঙ্গে যাত্রীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে লঞ্চের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে ২৮ যাত্রীকে থানা হেফাজতে নেয় থানা-পুলিশ। খবর পেয়ে আটক যাত্রীদের স্বজনেরা থানা চত্বর ঘেরাও করে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ নৌবাহিনী ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বেতাগীর মোকামিয়ার এলাকার মাছুয়াখালী গ্রামের এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার ছেলে ট্রাকে কাজ করে। লঞ্চে গন্ডগোলের সময় আমার ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। সে কোনো অপরাধ করেনি। লঞ্চ থেকে নামার সময় তাকে বিনা অপরাধে জোর করে আটক করে পুলিশ।’
কেওড়াবুনিয়া এলাকার শান্তা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই পারভেজ ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে। সে ঈদে বেড়াতে বাড়ি আসছিল। তাকে কেবিনের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে।’
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি
আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।
ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি
জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।
ঢাকা/এমআর/রফিক