বেসরকারি সংস্থায় ঢাকার বাইরে চাকরি, বেতন ৪৬ হাজার
Published: 3rd, April 2025 GMT
পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বরগুনায় প্রজেক্ট অফিসার মেরিন প্রটেকশন পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: প্রজেক্ট অফিসার মেরিন প্রটেকশন
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে মেরিন সায়েন্স বা ফিশারিজ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় অন্তত চার বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতাসহ এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রিপোর্টিং, ডকুমেন্টেশন ও যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। মোটরসাইকেল চালানোর মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মস্থল: বরগুনা
বেতন: মাসিক বেতন ৪৬,০০০ টাকা।
আরও পড়ুনসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৪৯ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি০২ এপ্রিল ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংকে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। একই লিংকে ছবি, স্বাক্ষর, কভার লেটার, দুটি রেফারেন্সসহ সিভি আপলোড করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৫ এপ্রিল ২০২৫।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।