ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লরিচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
Published: 8th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুতগতির একটি লরিচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশার চালকসহ আরও চারজন আহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন জেলার নবীনগর উপজেলার নজরদৌলত গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তানভীর মিয়া (২৩) ও আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরের ইদন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫)। আহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মিজানুর রহমান (২০), সাইফুল ইসলাম (২২), রিয়াজুল ইসলাম (২১) ও খোকন মিয়া (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সদর উপজেলার চিনাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সদর উপজেলার রামরাইলে পেছন দিক থেকে আসা একটি লরি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রামরাইল এলাকায় পেছন থেকে লরিটি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়। পালিয়ে যাওয়ায় লরির চালক ও সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘সেটি লরি কি না জানি না। গাড়িটি পালিয়ে গেছে। ওই গাড়ির চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় র উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত