ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুতগতির একটি লরিচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশার চালকসহ আরও চারজন আহত হয়েছেন।

নিহত দুজন হলেন জেলার নবীনগর উপজেলার নজরদৌলত গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তানভীর মিয়া (২৩) ও আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরের ইদন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫)। আহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মিজানুর রহমান (২০), সাইফুল ইসলাম (২২), রিয়াজুল ইসলাম (২১) ও খোকন মিয়া (২২)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সদর উপজেলার চিনাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সদর উপজেলার রামরাইলে পেছন দিক থেকে আসা একটি লরি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রামরাইল এলাকায় পেছন থেকে লরিটি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়। পালিয়ে যাওয়ায় লরির চালক ও সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘সেটি লরি কি না জানি না। গাড়িটি পালিয়ে গেছে। ওই গাড়ির চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।

ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”

শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ