বরগুনায় পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের হক মেম্বারের ছেলে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) এবং বেতাগীর আমজেদ হোসেন খানের ছেলে মো.

মনির হোসেন।

পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর বেতাগী বুড়া মজুমদার গ্রামের বাসিন্দ ও বামনা সরকারি কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্র মো. ইব্রাহিম গোলদারকে (২০) পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স (৪০) ও মো. মনির হোসেন খান (৪০) ছয় লক্ষ টাকার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ইব্রাহীম গোলদারকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে চূড়ান্ত বন্দোবস্ত হয়। 

প্রতারক মনির ও প্রিন্স ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সর্বমোট তিন লক্ষ টাকা প্রতারণাপূর্বক সু-কৌশলে হাতিয়ে নেয়।

মনির ও প্রিন্স চাকরি দিতে ব্যর্থ হইলে মো. ইব্রাহিম এর পরিবার টাকা ফেরৎ চায় কিন্তু প্রতারকরা টাকা নিয়ে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম মো. ইব্রাহিম (২০) নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য ও তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে বুঝতে পেরে মো. ইব্রাহিম এর দাদা মো. জলিল গোলদার (৫৮) বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে বেতাগী থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম জানান, ছায়া তদন্ত করে মামলার সত্যতা পেয়ে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত দুই প্রতারককে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। আগামীকাল তাদের রিমান্ড চাইবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/ইমরান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি

আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।

ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি

জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ