জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে যুবক নিহত
Published: 13th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে জামাল মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জামাল মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের সনু মিয়ার বড় ছেলে। পেশায় তিনি পরিবহনশ্রমিক ছিলেন। তাঁর বাবা সনু মিয়া ও চাচা লহু মিয়া অনেক বছর আগে মারা যান। তাঁরা রেখে গেছেন ছয় শতক ভিটেবাড়ি। ওই বাড়িতে দুই ভাইয়ের ছয় ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ওই সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ছয় ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় বাড়িতে একা ছিলেন জামাল মিয়া। লহু মিয়ার বড় ছেলে বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও পরিবারের সদস্যরা জামাল মিয়াকে মারধর করেন। একপর্যায়ে এক ভাই জামালের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামাল মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাবুল মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে জামাল মিয়া নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত