ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে জামাল মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাঁটিহাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জামাল মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের সনু মিয়ার বড় ছেলে। পেশায় তিনি পরিবহনশ্রমিক ছিলেন। তাঁর বাবা সনু মিয়া ও চাচা লহু মিয়া অনেক বছর আগে মারা যান। তাঁরা রেখে গেছেন ছয় শতক ভিটেবাড়ি। ওই বাড়িতে দুই ভাইয়ের ছয় ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ওই সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ছয় ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় বাড়িতে একা ছিলেন জামাল মিয়া। লহু মিয়ার বড় ছেলে বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও পরিবারের সদস্যরা জামাল মিয়াকে মারধর করেন। একপর্যায়ে এক ভাই জামালের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামাল মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাবুল মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, চাচাতো ভাইয়ের ইটের আঘাতে জামাল মিয়া নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।

ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”

শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ