মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া মেটানোর কথা বলে বাসায় ডেকে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক প্রেমিক নয়ন মোল্লা (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার দিবাগত রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। পরে উপজেলার আব্দুল্লাপুরে নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়ন আব্দুল্লাপুর এলাকার মৃত সায়েন মোল্লার ছেলে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার নয়ন ভুক্তভোগী তরুণীর সাবেক প্রেমিক। নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে সিয়াম নামের আরেক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী।  সম্প্রতি সিয়ামের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮ এপ্রিল তরুণীকে বাসায় ডাকেন নয়ন। বাড়িতে তখন কেউ না থাকায় নয়ন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে আগে থেকে লুকিয়ে ছিলেন নয়নের সহযোগী মো.

জীবন শেখ (২০), আপন বেপারীর (১৯), আরমান (১৮), মিরাজ (১৯)। তার লুকিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরে সে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নয়নের সহযোগীরাও তাকে ধর্ষণ করেন। দুই দিন নয়ন ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ঘটনা জানাজানি হয়। পরে রাতেই ভুক্তভোগী বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এটি পরিকল্পিত ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের পর রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মূলত অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় তরুণীর উপর ক্ষুব্ধ ছিল নয়ন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।

মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ