তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সাবেক প্রেমিক
Published: 13th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া মেটানোর কথা বলে বাসায় ডেকে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক প্রেমিক নয়ন মোল্লা (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। পরে উপজেলার আব্দুল্লাপুরে নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়ন আব্দুল্লাপুর এলাকার মৃত সায়েন মোল্লার ছেলে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার নয়ন ভুক্তভোগী তরুণীর সাবেক প্রেমিক। নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে সিয়াম নামের আরেক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী। সম্প্রতি সিয়ামের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮ এপ্রিল তরুণীকে বাসায় ডাকেন নয়ন। বাড়িতে তখন কেউ না থাকায় নয়ন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে আগে থেকে লুকিয়ে ছিলেন নয়নের সহযোগী মো.
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এটি পরিকল্পিত ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের পর রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মূলত অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় তরুণীর উপর ক্ষুব্ধ ছিল নয়ন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী