বাংলা নববর্ষ ঘিরে দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রাজধানীর কাওলায় অবস্থিত সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানো হবে।
আয়োজকরা জানান, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব নাসরীন জাহান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.
বেবিচক জানায়, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এতে থাকবে লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও সাংস্কৃতিক উপকরণ।
অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের স্টল। যেখানে প্রদর্শিত হবে বাঙালির লোকজ খাবার, হস্তশিল্প, খেলনা ও গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শেষে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বেবিচক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নাটিকা।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র নববর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’