খোলা চুল, চোখে রোদচশমা, পরনে লালচে শাড়ির সঙ্গে স্প্যাগেটি হাতার ব্লাউজ। এমন রূপে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীকে। নিজের সামাজিক মাধ্যমের জন্য একটি ভিডিও শুট করতে তার এমন আয়োজন। সেই ভিডিওতে জুড়ে দিলেন গান- ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়, তোমায় নিয়ে বকুলতলায়’।

এমন সেজে কার সঙ্গে বকুলতলায় যাবেন উষসী? প্রশ্ন করতেই অভিনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, “আমি কার সঙ্গে যাব! এমন ছেলে কোথায়, যাঁর রসবোধ ভাল অথবা ফিটনেস নিয়ে সচেতন! চারদিকে তো কোনও ভাল ছেলেই দেখতে পাচ্ছি না।”

অভিনেত্রীর কথায়, ‘বকুলতলায় যাওয়ার লোক নেই। বরং ন্যাড়া মাথায় বেলতলায় গিয়ে ভুক্তভোগী হওয়ার লোক চারপাশে বেশি। বেলতলায় বার বার যাওয়ার মতো লোক বহু রয়েছে। কিন্তু বকুলতলায় গিয়ে প্রেম করব, এমন লোক কোথায়!”

নববর্ষের এই সাজে পুরনোদিনের সঙ্গে আধুনিকতা বজায় রেখেছেন উষসী। আবার শাড়ি পরে ঘোড়ায় চড়তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে, যা আজকাল সচরাচর দেখা যায় না।

অভিনেত্রী বলেছেন, ‘শাড়ি পরতে ন্যূনতম ফিটনেসের প্রয়োজন হয়, সেটা আমার রয়েছে। আমি নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগ করি। তাই আমার সুবিধা হয়েছে। না হলে, শাড়ি পরে ঘোড়ায় চড়া সত্যিই সহজ বিষয় নয়।’

এই নববর্ষে কলেজ স্ট্রিটের জনপ্রিয় শরবতের দোকান ‘প্যারামাউন্ট’-এ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অভিনেত্রীর। একটা দিন ডায়েট ভুলে মিষ্টিও খাবেন তিনি। তারপর আসন্ন ছবি ‘অঙ্ক কি কঠিন’-এর প্রচারে যাবেন বলে জানান উষসী। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ