ভাল ছেলেই তো পাচ্ছি না, কার সঙ্গে বকুলতলায় যাব: উষসী
Published: 14th, April 2025 GMT
খোলা চুল, চোখে রোদচশমা, পরনে লালচে শাড়ির সঙ্গে স্প্যাগেটি হাতার ব্লাউজ। এমন রূপে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীকে। নিজের সামাজিক মাধ্যমের জন্য একটি ভিডিও শুট করতে তার এমন আয়োজন। সেই ভিডিওতে জুড়ে দিলেন গান- ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়, তোমায় নিয়ে বকুলতলায়’।
এমন সেজে কার সঙ্গে বকুলতলায় যাবেন উষসী? প্রশ্ন করতেই অভিনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, “আমি কার সঙ্গে যাব! এমন ছেলে কোথায়, যাঁর রসবোধ ভাল অথবা ফিটনেস নিয়ে সচেতন! চারদিকে তো কোনও ভাল ছেলেই দেখতে পাচ্ছি না।”
অভিনেত্রীর কথায়, ‘বকুলতলায় যাওয়ার লোক নেই। বরং ন্যাড়া মাথায় বেলতলায় গিয়ে ভুক্তভোগী হওয়ার লোক চারপাশে বেশি। বেলতলায় বার বার যাওয়ার মতো লোক বহু রয়েছে। কিন্তু বকুলতলায় গিয়ে প্রেম করব, এমন লোক কোথায়!”
নববর্ষের এই সাজে পুরনোদিনের সঙ্গে আধুনিকতা বজায় রেখেছেন উষসী। আবার শাড়ি পরে ঘোড়ায় চড়তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে, যা আজকাল সচরাচর দেখা যায় না।
অভিনেত্রী বলেছেন, ‘শাড়ি পরতে ন্যূনতম ফিটনেসের প্রয়োজন হয়, সেটা আমার রয়েছে। আমি নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগ করি। তাই আমার সুবিধা হয়েছে। না হলে, শাড়ি পরে ঘোড়ায় চড়া সত্যিই সহজ বিষয় নয়।’
এই নববর্ষে কলেজ স্ট্রিটের জনপ্রিয় শরবতের দোকান ‘প্যারামাউন্ট’-এ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অভিনেত্রীর। একটা দিন ডায়েট ভুলে মিষ্টিও খাবেন তিনি। তারপর আসন্ন ছবি ‘অঙ্ক কি কঠিন’-এর প্রচারে যাবেন বলে জানান উষসী। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু