বাংলা ১৪৩২ সন এসেছে ফ্যাসিবাদ মুক্ত এক স্বপ্নের বাংলাদেশে এক নতুন বার্তা নিয়ে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দমনপীড়ন, বাকস্বাধীনতার সংকোচন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের পর জনগণ ফিরে পেয়েছে মুক্তির স্বাদ। ২০২৪ সালে আগস্টে জনতার ঐক্য ও প্রতিরোধ গড়ে তোলে এক নতুন রাজনৈতিক আবহ, যেখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আবারও গুরুত্ব পায়।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলা নববর্ষের আনন্দ ছিল ব্যতিক্রম। এটা শুধু সংস্কৃতির উৎসব নয়, বরং মুক্তির আনন্দ। রাজধানীসহ সারা দেশে মানুষের অংশগ্রহণে নববর্ষ উদযাপন হয়েছে নতুন প্রত্যয়ের সঙ্গে ভয় নয়, অধিকার ও সম্মানের কণ্ঠে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরাও নব স্বাধীনতার এই নতুন বছরের আগমনকে উপভোগ করেছেন দারুণভাবে। মুক্তির স্বাদ ও নববর্ষের আনন্দে ভিন্নরকম এক উৎসব মুখর পরিবেশে তারা উৎযাপন করেছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। রাইজিংবিডির কাছে তারা তাদের অনুভূতি জানিয়েছেন।

এবারের বর্ষবরণ এক আশাবাদী স্বপ্নের প্রতিধ্বনি

 ২৪-এর নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদমুক্ত বর্ষবরণ- এক আশাবাদী স্বপ্নের প্রতিধ্বনি। যেখানে নিঃশ্বাস নেয় মুক্ত চিন্তা, মুখরিত হয় গণতন্ত্রের গান। এ বার্তা যেন এক নবজাগরণের আহ্বান। স্বাধীনতার সত্য আলোয় ভেসে ওঠা সাহসী একটি ভোর। ফ্যাসিবাদের আঁধার পেরিয়ে এক নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে চলার প্রতিজ্ঞা এটি।

বর্ষবরণ যেন শুধু একটি উৎসব নয়, বরং মানুষের মৌলিক অধিকারের জয়গান। এই যাত্রা হোক ন্যায়, মুক্তি ও সৌন্দর্যের পথে এক অনন্য অভিযান।
(লেখক: সাদিয়া সিদ্দিকা শান্তা, শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, ভেটেরিনারি অনুষদ) 

ফ্যাসিবাদ মুক্ত উৎসবের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়

আমি মনে করি, স্বাধীনতা ছাড়া কোনো উৎসবই সত্যিকারের হয় না। ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্ত এই প্রথম পহেলা বৈশাখ। আশেপাশের মানুষের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখতে পাচ্ছি, সত্যিকার অর্থে এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করবার মতো নয়। আমি চাই, সবাই যেন মুক্তভাবে গান গাইতে, আলপনা আঁকতে, মেলা করতে পারে।
(লেখক: নাসরিন জাহান মহুয়া, শিক্ষার্থী, তৃতীয় বর্ষ, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ)

বাংলাদেশকে নতুনভাবে ফিরে পাওয়ার বছর

এ বছরের বর্ষবরণ শুধু বর্ষবরণ নয়, বাংলাদেশকে নতুনভাবে ফিরে পাওয়া, নতুনভাবে উদযাপন করার একটি অনুভূতি। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, বছরের সব আবর্জনা দূর করে দেওয়ার মত করে আমরা ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে  ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। সব অসূচি দূর করে একটি সুন্দর বাংলাকে বরণ করে নিচ্ছি।”
(লেখক: সায়েদা জাহান খুকী, শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, কৃষি প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি অনুষদ)

এবারের পহেলা বৈশাখ দেশের মানুষের জন্য অনেক স্পেশাল

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জনগোষ্ঠির জন্য একটি সার্বজনীন লোক উৎসব। এটি বাংলার ইতিহাস , ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। প্রতিটি বছর বর্ণিল ও আনন্দঘন পরিবেশে বাংলার নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু বিগত বেশকিছু বছর থেকে হয়তো সেটা সেভাবে সম্ভব হয়নি। এর একটি বড় কারণ হতে পারে, বিগত বেশকিছু পহেলা বৈশাখ রোজার মাঝে পড়ে যাওয়া । 

এছাড়া এবারের পহেলা বৈশাখ দেশের জনমানুষের জন্য অনেক স্পেশাল। ফ্যাসিবাদী সরকারের ১৫ বছরের শাসন ও শোষণের অবসান ঘটিয়ে দেশের বিভিন্ন জনগোষ্টির মানুষ এক স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে । ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ কে ফিরে পেয়েছি, এই নতুন বাংলাদেশে আজ প্রথম পহেলা বৈশাখ পালিত হতে যাচ্ছে । দেশের মানুষজন নতুন বছরকে মন খুলে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

যারা এতদিন ক্ষমতার প্রয়োগে চাপা পড়ে ছিল, বঞ্চিত ছিল নিজের অধিকার থেকে, তাদের সবার কাছে আজ একটি নতুন দিগন্তের শুরু। কত শত মানুষ তাদের পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আয়না ঘরে বছরের পর বছর বন্দী ছিল, তারা জানতোই না তাদের দোষটা কি। নিজের জীবন থেকে কতটা বছর তারা হারিয়েছে, হারিয়েছে নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত । তাদের সবার কাছেই আজ এক নতুন সূচনা।
(লেখক: মো.

মেহেরাজ হোসেন ইমন, শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, কৃষি অনুষদ)

বাক-স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার ছায়া পড়েছে এবারের নববর্ষে

এই তো গত বছরের কথা—মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। সঙ্গে ছিল মুক্তির স্বপ্ন, ছিল বাক-স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষার ছায়া এবার পড়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষে।

এবারের বর্ষবরণ শুধুই রঙ আর ঢাকঢোলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ছিল একটা দৃঢ় বার্তা। আনন্দ শোভাযাত্রার ভেতর দিয়ে মানুষ শুধু বর্ষবরণ করেনি, বরং স্পষ্ট করেছে যে আমরা কথা বলতে শিখেছি, প্রশ্ন করতে শিখেছি।

শোভাযাত্রার ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতির মাধ্যমে উঠে এসেছে ফ্যাসিজমের প্রতি গণপ্রতিরোধ। যদিও প্রতিকৃতিটা একবার নষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু একবার আমরা মাথা তুলতে শিখে গেছি, এই মাথা সহজে নত হবে না। আবারো বানানো হয় সেই ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি, যার হাতে লেগে আছে হাজার মানুষের রক্ত।

এ নববর্ষ শুধু নতুন ক্যালেন্ডারের সূচনা নয়, এটি ছিল নতুন সাহসের সূচনা। একটা স্পষ্ট বার্তা, আমরা বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিজম সহ্য করব না।”
(লেখক: নাঈম সারোয়ার অপু, শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, ভেটেরিনারি অনুষদ)

এবারের পহেলা বৈশাখ নবজাগরণের উৎসব

‘যদি একদিন নেমে আসে আলো/আমরা হাত ধরবো সবাই’— নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই পংক্তিটি আজ যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক নতুন আশার সুর তোলে। কতদিন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম একটি আলোর, একটি পরিবর্তনের, একটি মুক্ত শ্বাসের। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের আঁধার, ভয় আর দমন-পীড়নের ভার পেরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে নিজের স্বরূপ একটি স্বপ্নময়, গণতান্ত্রিক, বৈচিত্র্যময়, ভালোবাসার দেশ।

এবারের পহেলা বৈশাখ তাই শুধু একটি ক্যালেন্ডার বদলের দিন নয়, এটি এক নবজাগরণের উৎসব। ১৪৩২ বঙ্গাব্দের এই প্রথম প্রহরে নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়েছে গোটা জাতি। রাজধানীর রাজপথ থেকে শুরু করে গ্রামের মেঠোপথ পর্যন্ত, পাহাড় থেকে সমতলে—সবখানেই মানুষ একত্র হয়েছে হৃদয়ের বন্ধনে। ধর্ম, জাতি, ভাষা—সব পার্থক্য ছাপিয়ে সবাই আজ একই ছায়ার নিচে, একই মাটির গান গাইছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে এই প্রথমবার, সত্যিকারের সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে নববর্ষ। এই উৎসব রাষ্ট্রীয় ছুটির গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের মনের গহীনে গেঁথে গেছে। যেখানে কণ্ঠে গান, চোখে জল, আর হৃদয়ে প্রতিজ্ঞা—আর কখনো নয় আঁধার, আর কখনো নয় শাসনের শৃঙ্খল।
(লেখক: আবু হানিফ, শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ)

সবার প্রত্যাশা দেশ আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাক
 
বাংলা নববর্ষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল বাঙালির জীবনে  এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে। সারা বছরের সব গ্লানি ভুলে  সম্প্রীতির এক নতুন বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দিনটি উৎযাপন করেন এদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। পূর্বের ফাসিবাদ সরকারের অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বছর মানুষের মাঝে সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা।

সেই ধারাবাহিকতায় দিনের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতিগোষ্ঠী নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করেছে। সম্প্রীতির এক দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে  দেশের সেবায় নিজেকে উদ্বুদ্ধ রেখে দেশ আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাক, এটাই সবার প্রত্যাশা।
(লেখক: মো. শাকিব হাসান, শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ)
 

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ধ নত র র আনন দ প রথম প নববর ষ র উৎসব নত ন স র পর ব এই প র নত ন ব সরক র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 

পাহাড়ের আঁকাবাঁকা প্রায় দুই কিলোমিটারেরও বেশি উঁচুনিচু ঢালু পথ পাড়ি দিয়ে আলোক শোভাযাত্রা করে করলেন হাজারো খৃষ্ট ভক্ত। মা মারিয়ার আশীর্বাদপ্রাপ্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘বারোমারি সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লি’ তে ছিলো এ বছরের আয়োজন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব। দুই দিনব্যাপী এই তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পবিত্র মহাখ্রিষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে। 

এ উৎসবে শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানই নন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রতিবছর অংশ নেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‌্যান্ডেল। 

এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজক কমিটি জানায়, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারে এই তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রধান পৌরহিত্যকারী ন্যুনসিওকে বরণ, তীর্থের জুবিলী উদজাপন, পুর্নমিলন সংস্কার, পবিত্র খিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থন, আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। শুক্রবার সকাল আটটায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম এবং সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের তীর্থোৎসব। 

১৯৪২ সালে ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লি। ১৯৯৮ সালে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গোমেজ স্থানটিকে ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে এই ধর্মীয় উৎসব। এ বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রী অংশ নিয়েছেন উৎসবে। সার্বিকভাবে উৎসব এলাকা ছিল আলো, প্রার্থনা ও শান্তির আবহে মোড়ানো।

রংপুর থেকে আসা তীর্থযাত্রী রিপন আরেং বলেন, “সবাই যখন মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করতে করতে পাহাড়ি আকাঁবাঁকা পথ অতিক্রম করছিলেন, তখন পাহাড় আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তীর্থে আমরা মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করতে এসেছি।”

চট্টগ্রাম থেকে আসা রীতা নকরেক বলেন, “পুত্রবধূর সন্তান হচ্ছিল না। গতবার মানত করার পর এবার নাতী পেয়েছি। তাই এবার নাতীকে নিয়ে আবার এসেছি।”

গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে আসা শিক্ষার্থী ঝর্ণা আরেং বলেন, “মারিয়ার কাছে এলে মনে একধরনের শান্তি পাই। আমরা প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।”

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই তীর্থযাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত রাখতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেখেছি। পাঁচ শতাধিক পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।”

শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “উৎসবটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে সহযোগীতা করে আসছে। এবারের তীর্থযাত্রায় সারাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের উৎসব পালন করেছে।”

ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি বলেন, “এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়েছে। ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ তীর্থে দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছেন। তাঁরা দুই দিনব্যাপী তীর্থে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। মা ফাতেমা রানীর কাছে দেশ ও মানবজাতির কল্যাণে প্রার্থনা শেষে যার যার বাড়ি ফিরে যাবেন।”

ঢাকা/তারিকুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক