ফরিদপুরের মধুখালীতে তরমুজ বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এ ঘটনায় ট্রাকটির চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগাট ইউনিয়নের ঘোপঘাপ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

নিহতরা হলেন- যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাহেব আলীর ছেলে ট্রাক চালক মো.

ইদ্রিস আলী (৩০) ও একই এলাকার বাসিন্দা ট্রাকের হেলপার মো. হায়দার আলী (৩২)।

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে বাস খাদে, আহত ১৩

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে যশোরগামী তরমুজ বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট ১২-৪৬৪৪) রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকটির চালক ও হেলপার নিহত হন।

মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রাশেদুল আলম বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদরহ দুইটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারালে তারা মারা যান।” 

করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “মরদেহ দুইটি মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবার-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে, তারা এলে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ