১০ হাজার হজযাত্রী লাগেজ পৌঁছানোর সুবিধা পাবেন না
Published: 21st, April 2025 GMT
পবিত্র হজ পালনে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন সৌদি আরবের মক্কায় যাবেন। তবে তাদের সবাই নির্দিষ্ট স্থানে লাগেজ পৌঁছানোর সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের পরিষেবা নিয়ে সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার বলেন, এ বছর হজযাত্রীদের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবেন ৭৭ হাজার ১০০ জন। তারা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ সুবিধার আওতায় থাকবেন। এর আওতায় হজযাত্রীরা দুটি বড় সুবিধা পান। প্রথমত, সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশের বিমানবন্দরেই সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয়ত, লাগেজ ম্যানেজমেন্ট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যান্ডেল করা হয় এবং যাত্রীরা যে হোটেলে ওঠেন সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয়। অন্যান্য বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া বাকি ১০ হাজার হজযাত্রী এ ইনিশিয়েটিভের আওতায় না থাকায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
গত বছর কিছু যাত্রীর লাগেজ নিয়ে সমস্যার কারণে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।
ভিসা জটিলতা সম্পর্কে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, ভিসার কোনো সমস্যা ছিল না। সমস্যাটি ছিল মূলত বাড়ি ভাড়া নিয়ে। বাড়ি ভাড়া না হলে কেউ ভিসার আবেদন করতে পারেন না। তবে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শতভাগ হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজ স দ আরব র হজয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।