মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান দক্ষিণ কোরিয়ায় পারফর্ম করতে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সাত বছর পর গ্ল্যামারজগতের এই তারকা পুনরায় কোরিয়া যাচ্ছেন পারফর্ম করতে।
প্রিয়াঙ্কা জানান, আগামী ৫ মে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনসন গ্র্যান্ড পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ উৎসব ও বৈশাখী মেলা ২০২৫’। প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে তিনি শুধু পারফর্মই করবেন না, অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করবেন।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “বিদেশে স্টেজ শো করার যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া থেকেই। এরপর মালয়েশিয়া, দুবাই, ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছি। তবে সবসময় মনে মনে চেয়েছি, আবার যেন কোরিয়ায় পারফর্ম করতে পারি। সেই ইচ্ছাটাই এবার পূরণ হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের আয়োজনটা আমার জন্য একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ উপস্থাপনার পাশাপাশি স্টেজ পারফর্মও করতে হবে। তাই গত কয়েক দিন উপস্থাপনার প্রস্তুতিতেই সময় কেটেছে। আশা করছি, সব কিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারব।”
৫ মে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ৭ মে দেশে ফিরবেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শুটিং ও অন্যান্য কাজ নিয়ে।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’