ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে: ব্রিফিংয়ে সামরিক মুখপাত্র
Published: 10th, May 2025 GMT
যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত জানিয়ে দিল, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। ভারতীয় বাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্য দিনের মতোই উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এই কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান নানা অপপ্রচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা সেগুলো তুলে ধরেন।
কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা দাবি করেন, পাকিস্তানের দাবি চীনের তৈরি জে এফ–১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ভারতের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই প্রচার মিথ্যা। তারা প্রচার করেছে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট ও ভুজের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটাও ভুয়া প্রচার। চণ্ডীগড় ও বিয়াসের অস্ত্র ভান্ডারও নাকি ধূলিসাৎ করেছে। এই দাবিও অসত্য।
এই দুই সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেন, পাকিস্তান আরও প্রচার করেছে ভারতীয় বাহিনী নাকি বেছে বেছে মসজিদ ভেঙেছে। এই প্রচারও পুরোপুরি অসত্য। ভারতীয় বাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত। তারা মূল্যবোধ রক্ষায় বিশ্বাসী। ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল শুধু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি। তাদের শিবির।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দাবিমতে, এই কয়েক দিনে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ, ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হানা রুখে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ