যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত জানিয়ে দিল, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকছে। ভারতীয় বাহিনী দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্য দিনের মতোই উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এই কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান নানা অপপ্রচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁরা সেগুলো তুলে ধরেন।

কর্নেল সোফিয়া ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা দাবি করেন, পাকিস্তানের দাবি চীনের তৈরি জে এফ–১৭ যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা ভারতের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই প্রচার মিথ্যা। তারা প্রচার করেছে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট ও ভুজের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটাও ভুয়া প্রচার। চণ্ডীগড় ও বিয়াসের অস্ত্র ভান্ডারও নাকি ধূলিসাৎ করেছে। এই দাবিও অসত্য।

এই দুই সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেন, পাকিস্তান আরও প্রচার করেছে ভারতীয় বাহিনী নাকি বেছে বেছে মসজিদ ভেঙেছে। এই প্রচারও পুরোপুরি অসত্য। ভারতীয় বাহিনী দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত। তারা মূল্যবোধ রক্ষায় বিশ্বাসী। ভারতীয় বাহিনীর লক্ষ্য ছিল শুধু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি। তাদের শিবির।

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দাবিমতে, এই কয়েক দিনে স্কারদু, সরগোদা, জাকোয়াবাদ, ভুলারিতে পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান হানা রুখে পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাঘাঁটিগুলো প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।

ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”

শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ