ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে গেলে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের পূর্ব সদরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকাগামী "ইকরা পরিবহন" নামের বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ। তারা উদ্ধার কাজ চালিয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

আহতদের মধ্যে পরিচিত কয়েকজন হলেন—পটুয়াখালীর মো.

সজিব (২৫), আমতলী বরগুনার সুইটি বেগম (২১), ভোলার মিরাজ কাজী (৩২), এবং গোপালগঞ্জের খাদিজা আক্তার (২৩)। এছাড়াও বাসের হেলপারসহ আরও অন্তত ১৬ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন, যাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “বাসটিতে প্রায় ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন, তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।”

উপ-পরিদর্শক মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, উদ্ধার কাজ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫