প্রশ্ন: আমি একজন নারী, বয়স ৩০ বছর। আমার ওজন ৭০ কেজি, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। আমার নাক প্রায় সব সময় বন্ধ থাকে। শীতে তো বটেই, গরমের দিনেও নাক ব্লক হয়। ড্রপ দিলে খোলে, তবে এই সমস্যা স্থায়ীভাবে এড়াতে পারছি না। আমি কী করব, পরামর্শ চাই।
বিথীকা, যশোর।
পরামর্শ: নাক বন্ধ থাকার অনেক কারণ রয়েছে। সাধারণত নাকের হাড় বাঁকা, নাকে মাংস বৃদ্ধি, নাকের পলিপ, অ্যালার্জিগত কিছু কারণ কিংবা দীর্ঘদিন ধরে নাকে কোনো ড্রপ ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নাকের পেছনের অংশে মিউকাস মেমব্রেনের প্রদাহের কারণেও নাক বন্ধের সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স–রে করে নাকের পরিস্থিতি জেনে নিতে হবে। যদি ফাংশনাল কোনো সমস্যা থাকে, যেমন নাকের হাড় বাঁকা কিংবা নাকে মাংসের বৃদ্ধি ঘটে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত নাকে কোনো ড্রপ ব্যবহার করবেন না। অ্যালার্জিগত কোনো কারণে এমনটি হলে অ্যালার্জি প্যানেল টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাপ্ত অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো দৈনন্দিন জীবনে এড়িয়ে চলুন। নিজের সিদ্ধান্তে কোনো ধরনের ওষুধ খাবেন না।
আরও পড়ুনদীর্ঘদিন নাকে ড্রপ দিলে কোনো সমস্যা হবে কি১২ এপ্রিল ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
করোনায় একজনের মৃত্যু, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৯৪
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু হল। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন বরগুনা জেলায়। বরগুনা সদর হাসপাতালে ৬৬ জন রোগী এক দিনে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৫৪ জনে, আর মারা গেছেন ৪৫ জন। সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর ৪৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত একদিনে সারা দেশে ২৩৯ জন সন্দেহজনক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ জনের। পাশাপাশি ওই সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ছিল ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। করোনায় এ বছর মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে নারী ১৩ জন, বাকি ১১ জন পুরুষ।
এ বছর করোনায় বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ৯ জন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ৩ জন ও সিলেট বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের ৫ দিনে এক হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন তিন জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫৭ জন, বাকি ৮৭৯ জন অন্যান্য বিভাগে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন ও জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন ও জুন মাসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।