নারায়ণগঞ্জ শহরের তিনটি খাবার প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমারা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা-এর নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহরিয়ার পারভেজ-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আইন, ২০১৮-এর আলোকে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে দেখা যায়, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই আইন, ২০১৮-এর ১৫ ধারা লঙ্ঘন করেছে। আইন অমান্য করায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮-এর ২৭ ধারা মোতাবেক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পঁচিশ হাজার টাকা করে সর্বমোট পঁচাত্তর হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা ঘটনাস্থলেই আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চবিতে শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৬ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রীর মধ্যে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে একজনের স্থায়ী ও তিনজনের ৬ মাস করে বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (২১ মে) বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে।

স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা শিক্ষার্থী হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের আফসানা এনায়েত এমি।

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচনের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের

গোপালগঞ্জে নার্স-মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি

বহিষ্কারাদেশ বাতিল হওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেরিন সায়েন্সেস ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, একই বর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা এবং একই বর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইসারা জাহান ইশা। তাদের প্রত্যেককেই ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা শিক্ষার্থীরা হলেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একই বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিকদার। তাদের বহিষ্কারাদেশ ২ বছর থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৫৫৯তম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় যেসব ছাত্রীদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদেরকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আত্মপক্ষ সমর্থনের পর বিষয়গুলো পূনরায় তদন্তের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে। এছাড়া নয়জনের মধ্যে ছয়জন ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হয়েছে এবং বাকি তিনজন ক্ষমা না চাওয়ায় ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তাদের বহিষ্কারাদেশ দেড় বছর কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “সিনিয়র প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীর গায়ে আঘাত করার কারণে একজনের স্থায়ী বহিষ্কার বহাল রয়েছে। বাকি বহিষ্কৃত নয়জনের মধ্যে নিজ ভুলের লিখিত ও মৌখিক ক্ষমা চাওয়ায় ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর ক্ষমা না চাওয়ায় তিনজনের ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা অনেকসময় অনেক ভুল করে। শিক্ষার্থীরা ভুলের ক্ষমা চাইলে আমরা সেটি ইতিবাচকভাবেই দেখি। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। তবুও কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, সে ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তি দিতে হয়।”

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের (বর্তমান নাম বিজয়-২৪ হল) নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত আফসানা এনায়েত এমি সিনিয়র প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে থাপ্পড় দেন।

এছাড়া ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও অন্য সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নয়জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ বহিষ্কারাদেশ প্রহসনমূলক বলে দাবি করে এর বাতিল চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ
  • ভারতে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ জনকে হত্যা
  • চবিতে শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৬ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
  • ভারতে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭ জনকে হত্যা
  • কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে মৌমাছির বিপদ