খুলনার রূপসায় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ওই নারীকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রূপসা উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আবদার শেখ (৪৫)। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনি শেখ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মনি শেখ বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রীকে আবদার শেখের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। ক্ষোভে তিনি দা দিয়ে আবদারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আবদারের মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশটি বস্তায় ভরে বাড়ির পেছনে ফেলে দেন মনি। এ সময় তাঁর স্ত্রীকেও কুপিয়ে জখম করেন। ওই নারীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে মনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, মনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এ সুযোগে তাঁর স্ত্রী ও আবদারের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল রাতে মনি হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন এবং নিজেই আবদারকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করেন। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে মনি পালিয়ে গেছেন।

ময়নাতদন্তের জন্য আবদারের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ