ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় লিচু খাওয়ার সময় গলায় বিচি আটকে আবু বক্কর নামের তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ভৈরবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আবু বক্কর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের তারেক জিয়ার ছেলে। শিশুটির নানার বাড়ি একই উপজেলার ভৈরবনগরে মারা যায়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর গত বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ভৈরবনগরে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। আজ সকালে তার নানা বাজার থেকে লিচু কিনে আনেন। বাড়ির উঠানে খেলাধুলার ফাঁকে আবু বক্কর লিচু খাচ্ছিল। ওই সময় অসাবধানতাবশত একটি লিচুর বিচি তার গলায় আটকে যায়। এ সময় শ্বাসপ্রশ্বাস না নিতে পেরে একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শিশুটির বাবা তারেক জিয়া বলেন, ‘সুস্থ ছেলেটা নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল, কিন্তু সে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।

আরো পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।

ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”

শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ