রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশালমিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মশালমিছিল বের করতে গেলে এ হামলা হয় বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা।

এ ঘটনায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের চার নেতা এবং একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি। এ ঘটনার পর হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

আহত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র গণমঞ্চের সভাপতি নাসিম সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশরাফ, ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ সৈকত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নোমান ইমতিয়াজ। ইসলামী ছাত্রশিবিরের আহত কর্মীদের পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাসের প্রতিবাদে মশালমিছিলের ডাক দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। এই কর্মসূচির খবরে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরিবহন মার্কেটের আমতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

অন্যদিকে রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা মশাল জ্বালিয়ে উঁচু স্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সমাবেশে উপস্থিত শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানের একপর্যায়ে শিবিরের নেতা-কর্মীরা চেয়ার ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশ রূপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নোমান ইমতিয়াজ আহত হন।

মুখোমুখি অবস্থানের একপর্যায়ে শিবিরের নেতা-কর্মীরা চেয়ার ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। আজ মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট সংলগ্ন সড়কে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কীটনাশক পানে দম্পতির মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় কীটনাশক পান করে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার কুড়েরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই দম্পতি হলেন আল আমিন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী জরিনা খাতুন (২৫)। আল আমিন কুড়েরপাড় এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা একই নোয়াগাঁও গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। এই দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে আছে।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে জরিনার সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আল আমিন ধারদেনা করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক কিনলেও পরে সেটি বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে স্ত্রী জরিনার সঙ্গে গতকাল রাতে ঝগড়া হয়। এরপর জরিনা কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আল আমিনও কীটনাশক পান করেন। পরে রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে জরিনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে আল আমিন মারা যান।

আল আমিনের মা সামসুন্নাহার বেগম বলেন, সাংসারিক অশান্তি ও অভাব-অনটনের কারণেই তাঁর ছেলে ও ছেলের বউ এমন করেছেন। তাঁদের ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও টানাপোড়েনের মধ্যে তাঁদের সংসার চলছিল। এসব নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাঁর বোন ও বোনের স্বামী কীটনাশক পান করে মারা গেছেন।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওই দম্পতির মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদক চক্রের হাতে ‘ট্রেজার গান’, দেখতে চাওয়ায় খুন সাম্য: পুলিশ
  • আঞ্চলিক সমিতির কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কীটনাশক পানে দম্পতির মৃত্যু
  • মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ায় শুভকে খুন করে বন্ধুরা : পুলিশ
  • গাঁজা সেবনকালে বন্ধুদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা-মারধর, পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শুভকে হত্যা: পুলিশ