যেখানে পথিক থমকে দাঁড়ান, মুগ্ধ স্থানীয়রাও
Published: 29th, May 2025 GMT
শহরটি অনেক দূরের হয়তো নয়, আবার খুব কাছেরও নয়। সীমান্তের কাছের প্রান্তিক এক শহর। ওই শহরে এখন গাছে গাছে অনেক ফুল ফুটেছে। বিভিন্ন জাতের ফুল, বিভিন্ন রঙের ফুল। কোথাও গাছে গাছে জলোচ্ছ্বাসের মতো উপচে পড়ছে লাল তরঙ্গমালা, কোথাও ছোট-বড় সোনালি-হলুদ ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
ফুলে ফুলে অনেকটাই রঙিন হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের কিছু এলাকা। শহরের কয়েকটি সড়ক সেজে উঠেছে ফুলের রঙে, পথিককে থমকে দাঁড়াতে বলছে। মুগ্ধ করছে স্থানীয় লোকজনকেও। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা বলে কিছু নেই। দমকা বাতাসে গাছের শাখাপ্রশাখাজুড়ে চলছে ফুলের নাচ।
সম্প্রতি এক বিকেলে গাড়িচালক সুমন আহমদ বড়লেখা পৌরসভার গরুরবাজার এলাকায় একা একা ঘুরছিলেন আর আনমনে ফুল দেখছিলেন। তিনি জানালেন, এলাকাটি তাঁর পরিচিত। তবে এই প্রথম তিনি এখানে (গরুরবাজার এলাকায়) শুধু ফুল দেখতে এসেছেন। দূর থেকে ফুল দেখে সেই ফুলের টানে এখানে তাঁর ঘুরতে আসা। একসঙ্গে এত ফুল দেখে তাঁর খুব ভালো লাগছে।
বড়লেখা পৌর শহরের গরুরবাজার, লংলিয়াছড়া, বারইগ্রাম, পানিধার এলাকায় এখন ফুলের নিঃশব্দ-নীরব উল্লাস, নীরব সময়যাপন চলছে। রাস্তার দুই পাশে থরে থরে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। সবচেয়ে বেশি কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে গরুরবাজার এলাকায়। ফুটেছে সোনালু আর লাল-হলুদ রঙের কত রাধাচূড়া ফুল! গোছানো সংসারের মতো একসঙ্গে তারা মিলেমিশে ফুটে আছে।
একটু বাতাস দিলেই পথের পাশে নেচে উঠছে লাল-হলুদ ফুল। মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের পানিধার এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক য় শহর র বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।