সমতল মাঠ তৈরি হলে যেকোনো সময় নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত জামায়াত: শফিকুর রহমান
Published: 3rd, June 2025 GMT
ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হয়ে গেলে যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে অবস্থান জানাতে এই ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারি টু এপ্রিল একটা ফ্লেক্সিবল টাইম আমরা মেনশন করেছি। প্রথমে ফেব্রুয়ারি বলেছিলাম, পরে এপ্রিল পর্যন্ত আমরা এটাকে ফ্লেক্সিবল করেছি। আর অন্যদিকে বিএনপি ডিসেম্বরকে স্ট্রিক্ট করেছে। এখন যদি ডিসেম্বরে ইলেকশন হয়, সেখানে আমাদের ভূমিকা কী হবে? ডিসেম্বর কেন, আজকেও যদি.
জামায়াতের আমির বলেন, এই বিষয়গুলো পরিষ্কার না করে ডিসেম্বরে, এপ্রিলে নির্বাচন হলেও কোনো লাভ হবে না। এ জন্য এই বিষয়গুলো পরিষ্কার হওয়া হচ্ছে বড় জিনিস, বড় চ্যালেঞ্জ।
শফিকুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তাঁরা জানিয়েছেন। আগামী রোজার আগে অথবা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয় তাহলে যেন এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া হয়। কারণ, আবহাওয়ার কারণে মে মাসের পর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা দাবি জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, প্রবাসীদের অবশ্যই ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে তাঁরা ছাড় দিতে নারাজ। প্রবাসীরা তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছেন, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এটা কোনো কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে তাঁরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না।
‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, দেশের বিচারব্যবস্থা, জামায়াতের নিবন্ধন-দলীয় প্রতীকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন শফিকুর রহমান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর প রস ত ত ব যবস থ প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ৩ জেলায়, বাড়তে পারে ৮ নদীর পানি
দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চল বা সিলেট এলাকার অন্তত ৮ নদ–নদীর পানি বাড়ছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও বাড়তে পারে এসব নদ–নদীর পানি। আর আগামীকাল তিন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই জেলাগুলো হলো সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ–নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়তে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরীর পানি বাড়তে পারে। এই সময়ে মুহুরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
পূর্বাভাসকেন্দ্রের বার্তায় বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের ও যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী চার দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত আটটি নদীর পানি আগামীকালও বাড়তে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে আছে পাহাড়ি ঢল। এর কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বুধবার থেকে দেশে বৃষ্টি কমে আসতে পারে। তখন ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।