মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ট্রাক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই ট্রাকটির পেছনে ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেল। এ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহীর, দুমড়েমুচড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের বাদামতল এলাকার নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মো.

রাফি চৌধুরী (১৯) ও একই এলাকার মো. বাপ্পি (২১)। তাঁদের মধ্যে বাপ্পি ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। রাফি চৌধুরীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মোটরসাইকেলে করে রাফি, বাপ্পিসহ ছয় বন্ধু চট্টগ্রাম নগর থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান এলাকায় পৌঁছান। রাফি ও বাপ্পী যে মোটরসাইকেলে ছিলেন, সেটি এই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে জোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে বাপ্পি নিহত হন। আহত অবস্থায় রাফিকে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাফি চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই মো. বাপ্পির লাশ তাঁর বন্ধুরা বাড়ির দিকে নিয়ে গেছেন। রাফি চৌধুরীর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি চলে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাত থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪ জন ভারতীয় নাগরিকসহ মোট ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। সদর উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তে ১১ জন এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ সীমান্তে ৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের মাধ্যমে আটক বাংলাদেশিদের পবিরারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ভারতীয় পরিচয় দেওয়া চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজিবি।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সেখানে বিভিন্ন কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁদের ভারতের মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে উড়োজাহাজে করে কলকাতায় পাঠায়। পরে বাসে করে সীমান্তে এনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতীয়দের বিএসএফের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মে ১১ জন, ২১ মে ২১ জন, ২ জুন ২৬ জন ও ১৩ জুন সাতজনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের বড়লেখার কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ আরও ১২ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। প্রাথমিক পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কুমারশাইল সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি নারী-শিশুসহ ১২ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

মৌলভীবাজার ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সরকার বলেন, যাচাই-বাছাই করে আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ