বন্দরে সন্ত্রাসী চামড়া রাজু গ্রেপ্তার
Published: 13th, June 2025 GMT
বন্দরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ফাহাদ পাঠানকে কুপিয়ে জখম করেছে চামড়া রাজুসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ।
পুলিশ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই পুলিশ র্যালী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী চামড়া রাজু আহমেদ (৪৪) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় । গ্রেপ্তারকৃত রাজু র্যালী আবাসিক এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে আহত ফাহাদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী চামড়া রাজুসহ বেশ কয়েক জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতকে উল্লেখিত মামলায় শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ মাস পূর্বে সন্ত্রাসী রাজু বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাদা পাঠানোর ছেলে ফাহাদ পাঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যবসার কথা বলে ধার নেয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজুর কাছে তার পাওনা টাকা চাওয়ায় রাজুসহ তার বাহিনীর বাবুল, নাছির, সিফাতসহ কয়েকজন মিলে ফাহাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার পর ফাহাদ পাঠানোর আত্বিয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপতালে চিকিৎসা করায় এবং থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে রাজুর সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় বাকি সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য: এই রাজু ঈদের দিন বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কোরবানীর চামড়া লুট করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।###
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব পর্যটনে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের জাফলংসহ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাহী এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই এই মহাপরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।
আজ শনিবার দুপুরে জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পাথর কোয়ারির শ্রমিকরা তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
রিজওয়ানা বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকা। এখানে পাথর উত্তোলনের জন্য আর কোনো ইজারা দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুরো নদীব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে।
জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে পাথর উত্তোলন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। জাফলংয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না।
পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ের নদী ও পাথরভরা প্রাকৃতিক এলাকা জলযানে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।