শেরপুরে বাসের নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ এক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টায় শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া বাঁশতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহী মজনু মিয়া একই গ্রামের মো.

ছফর উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মজনু মিয়া মোটরসাইকেলে শেরপুর শহরে বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়ে নিজ বাড়ি ভাতশালার হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হয়। নিজ গ্রাম হাওড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা শাম্মী ডিলাক্স পরিবহনের বাস তাকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে মজনু মিয়া মারা যায়। এ দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন:

বরিশালে ঢাকাগামী লঞ্চ-বাসে যাত্রীর ঢল

‘শত শত বাস আসছে, পা ফেলানোর জায়গা নাই’

এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং সড়কে যান চলাচল করছে। আবেদনের ভিত্তিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি

আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।

ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি

জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ