হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে একটি সেগুনগাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি টের পেয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে ঢাকা–সিলেট পুরোনো মহাসড়ক চলে গেছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কের পাশ ঘেঁষে একটি বড় সেগুনগাছ ছিল। যার দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৩৫ ফুট। আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। আজ সকালে বন বিভাগের কর্মীরা দেখতে পান, কেউ গাছটি কেটে নিয়ে গেছে। গাছের গোড়া পড়ে আছে, বাকি অংশ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতছড়ি উদ্যানের বাসিন্দা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এই গাছই নয়, সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ১৬ নম্বর সেকশনের ভেতর থেকে ১০–১২টি সেগুনগাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে বন বিভাগের লোকজন কাটা কাছের গোড়ায় মাটিচাপা দিয়ে দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘বন বিভাগের যথেষ্ট জনবল আছে। আমার জানামতে, রাতে টহল দল থাকে বনের ভেতরে। এত ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও গাছ কেটে নেয় চোরেরা, তা মেতে নিতে কষ্ট হয়।’

জানতে চাইলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জার (বন কর্মকর্তা) গাছ চুরির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা এ নিয়ে তদন্ত করছি।’ মামলা বা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন আইন অনুযায়ী যেকোনো গাছ চুরির ঘটনা ঘটলে ৩০ দিনের ভেতরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। তাৎক্ষণিক চুরির ঘটনা উদ্‌ঘাটন করা অনেক কঠিন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র ন র ভ তর ব যবস থ স তছড়

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা পালন করবে আনসার: ডিজি

আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবেন।

ডিজি আরো বলেন, সাধারণত নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী এবং অস্ত্রবিহীন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল মোতায়েন করা হয়। আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।তিনি

জানান, আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য সদর দপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ