সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সেগুনগাছ কেটে নিল দুর্বৃত্তরা
Published: 18th, June 2025 GMT
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে একটি সেগুনগাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি টের পেয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে ঢাকা–সিলেট পুরোনো মহাসড়ক চলে গেছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কের পাশ ঘেঁষে একটি বড় সেগুনগাছ ছিল। যার দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৩৫ ফুট। আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। আজ সকালে বন বিভাগের কর্মীরা দেখতে পান, কেউ গাছটি কেটে নিয়ে গেছে। গাছের গোড়া পড়ে আছে, বাকি অংশ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতছড়ি উদ্যানের বাসিন্দা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এই গাছই নয়, সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ১৬ নম্বর সেকশনের ভেতর থেকে ১০–১২টি সেগুনগাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে বন বিভাগের লোকজন কাটা কাছের গোড়ায় মাটিচাপা দিয়ে দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘বন বিভাগের যথেষ্ট জনবল আছে। আমার জানামতে, রাতে টহল দল থাকে বনের ভেতরে। এত ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও গাছ কেটে নেয় চোরেরা, তা মেতে নিতে কষ্ট হয়।’
জানতে চাইলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জার (বন কর্মকর্তা) গাছ চুরির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা এ নিয়ে তদন্ত করছি।’ মামলা বা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন আইন অনুযায়ী যেকোনো গাছ চুরির ঘটনা ঘটলে ৩০ দিনের ভেতরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। তাৎক্ষণিক চুরির ঘটনা উদ্ঘাটন করা অনেক কঠিন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র ন র ভ তর ব যবস থ স তছড়
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক দম্পতি পেলেন জিপিএ ৪.১১
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের সাংবাদিক দম্পতি কাইসার হামিদ ও রোকেয়া আক্তার। ৩১ বছরের সংসারের পাশাপাশি দু’জনেই পেশাগত কাজে ব্যস্ত। পাঁচ ছেলেমেয়ের একজন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন, বাকিরা পড়ছেন। এর মধ্যে এ দম্পতির দারুণ এক সাফল্য আনন্দে ভরিয়ে তুলেছে তাদের পরিবার, স্বজন ও পরিচিতজনদের। তারা দু’জনেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.১১ পেয়ে পাস করেছেন।
কাইসার হামিদের বয়স এখন ৫১ বছর এবং রোকেয়া আক্তারের ৪৪ বছর। হামিদ প্রায় ৩২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি তিনি। রোকেয়াও কয়েক বছর ধরে আরেকটি দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি।
তারা দু’জনেই এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। দু’জনেরই ফল জিপিএ-৪.১১। তারা ১৯৯৪ সালের ১৬ মার্চ বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।
হামিদ-রোকেয়া দম্পতির ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে। বড় মেয়ে নাসরিন সুলতানা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। দ্বিতীয় মেয়ে জেসমিন সুলতানা স্নাতক শেষবর্ষের ছাত্রী। তৃতীয় সন্তান মায়মুনা সুলতানা প্রীতি নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা পড়ছেন। ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ইয়াসিন নবম এবং আব্দুল্লাহ ফাহিম তাসীন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এত বছর পর কেন লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করলেন– এমন প্রশ্নের জবাবে কাইসার হামিদ বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। কিন্তু লেখাপড়াটা করা হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া তিনি ৩২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন, সম্মান পেলেও মাঝেমধ্যেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা শুনতে হয়। তাঁর স্ত্রীরও নেই কোনো শিক্ষাসনদ। এক ধরনের গ্লানিবোধ থেকে তারা লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেন।